বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
তাঁদের বক্তব্য, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি আন্দোলনে রাজনীতি করে পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। এই নিয়ে পুরসভায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাওড়া থানার পুলিস। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে যান হাওড়া পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের মেয়র পরিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) ভাস্কর ভট্টাচার্য। তিনি ডেঙ্গু কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ভাস্করবাবু বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে বেশ কিছু কর্মী দীর্ঘদিন ধরে পুরসভায় কাজ করছেন। তাঁদের বেতনে কিছু সমস্যা হয়েছে। এখন ভোটের কারণে তা সমাধান করা যাচ্ছে না। ভোট মিটলেই তা সমাধান হয়ে যাবে। এদিন ওই কর্মীরা কমিশনারের অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর সময় বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে চলে যায়। কিন্তু, বিক্ষোভকারীরাই তাদের হটিয়ে দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, পুরসভার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিজেপিকে ঘোলা জলে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। যদিও বিজেপির অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের ভিড়ে মিশে থাকা তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। কোনও আন্দোলনকারী হামলায় যুক্ত নয়।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া পুরসভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ২০১৪ সাল থেকে প্রায় তিন হাজার কর্মী কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ওয়ার্কাররা দৈনিক ১০০ টাকা ও সুপারভাইজাররা ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছিলেন। কিন্তু, তাঁদের বেতন ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছিল না। এখন কাজের সময়ও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে মাসে ২৬ দিন কাজ পাওয়া গেলেও এখন মাত্র ২০ দিন কাজ দেওয়া হচ্ছে। এই কারণে এদিন বিক্ষোভে যোগ দেন কর্মীরা। বিক্ষোভ চলার সময়ই কয়েকজন বিজেপি নেত্রী সেখানে হাজির হন। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। তখনই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিস গিয়ে অবস্থা সামাল দেয়।
এরপর বিজেপি কর্মীরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা বলেন, পুরসভার নিজস্ব ফান্ড থেকেই তাঁদের বেতন দেওয়া হয়। এই সমস্যার সমাধান খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। বাইরে কী ঘটেছে তা আমি ঠিক বলতে পারব না।