শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
চামরাইলে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় কাটিয়ে কল্যাণবাবু হাজির হন শ্রীরামপুর দোলতলায়। সেখানকার পদযাত্রায় অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে রঙের খেলায় মেতে ওঠেন। কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষ যেমন তাঁকে নানা রঙের আবির মাখিয়ে রঙিন করে তোলেন, তেমনি কল্যাণবাবুও আবির ও পিচকারি নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেওয়া পরিচিতদের রঙ দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। দোলতলাতেও বেশ কিছুটা সময় কাটানোর পর শ্রীরামপুরের বিদায়ী সংসদ সদস্য বৈদ্যবাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দোলের একটি পদযাত্রায় অংশ নেন। সেখানে কল্যাণবাবু গানের তালে তাল মিলিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোমর দোলান। পরে সন্ধ্যায় চণ্ডীতলার গরলগাছায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
কল্যাণবাবু বলেন, গত নির্বাচনেও আমি দোলের দিন থেকেই জনসংযোগের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম। এবারও তাই করলাম। শনিবার সকাল থেকেই আমি বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করব। বিজেপি প্রার্থী সম্পর্কে কল্যাণবাবু বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিরোধীদের কে কাকে প্রার্থী করছে সেটা কোনও ফ্যাক্টর নয়। তাই ওসব চিন্তা না করে আমি নিজের কাজটা করতে চাই যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে চাই।
অন্যদিকে, শাসকদলের হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রত্না দে নাগ বৃহস্পতিবার সকালে চুঁচুড়ার তোলাফটকের বাসন্তী মাঠ থেকে বসন্ত উৎসবের একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রা কামারপাড়া, খোড়োবাজার, সুঁড়িপাড়া হয়ে তোলাফটকে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় হাঁটার সময়ে আবির ও রঙ খেলার পাশাপাশি রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালে আয়োজকদের সঙ্গে কোমর দোলান রত্নাদেবী। এরপর বাঁশবেড়িয়ার ত্রিবেণীতে একটি ক্লাবের বসন্ত উৎসবের পদযাত্রায় অংশ নেন। পরে ফের চুঁচুড়ায় এসে বেশ কয়েকটি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানে নেচে গেয়ে কর্মী ও সাধারণ মানুষের মনোরঞ্জনের চেষ্টা করেন। তাঁর বিপক্ষের প্রার্থী প্রসঙ্গে রত্নাদেবী বলেন, যে কোনও রাজনৈতিক দলেরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার আছে। তাঁরা তাঁদের রাজনৈতিক আদর্শের কথা মানুষকে বলবেন। আর আমরা আমাদের উন্নয়ন ও আদর্শের কথা বলব। প্রার্থী যে হোক না কেন তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই।