বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
প্রশাসন ও বন দপ্তর সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভৌগলিক আয়তন ৪০৯৪ বর্গ কিলোমিটার। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে এই জেলায় কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা জরুরি। কিন্তু, এই জেলায় বর্তমান বনাঞ্চলের পরিমাণ মাত্র ০.৯৫৭ শতাংশ। অর্থাৎ আয়তন অনুযায়ী এক শতাংশেরও কম বনাঞ্চল রয়েছে। অন্যদিকে, এই জেলার হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি এবং মিনাখাঁ ও হাড়োয়ার একটা অংশ সুন্দরবনের মধ্যে পড়ে। তবে, এই সুন্দরবন অঞ্চলের কোর এরিয়াগুলির বন দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ। এই জেলার অন্তর্গত হলেও, এইরকম একাধিক এলাকা জেলা বন দপ্তরের হাতে নেই। তাই যে অঞ্চলগুলি জেলা বন দপ্তরের হাতে রয়েছে, সেইসব এলাকায় এই কর্মসূচি রূপায়িত করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
আয়লার সময় এই সুন্দরবন অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বহু ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নদীবাঁধ ভেঙে গিয়ে সেই অঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে, ম্যানগ্রোভের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ফি বছর বর্ষায় অতিবৃষ্টির সঙ্গে পূর্ণিমা পড়লে জলোছ্বাস হয়। নদীবাঁধ ভাঙার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ভূমিক্ষয়ের জন্যই নদীবাঁধ ভেঙে যায়। ম্যানগ্রোভ গাছ ভূমিক্ষয় রোধ করে।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে জেলা প্রশাসনের তরফে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে এই জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে নদীবাঁধগুলিতে ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, বন দপ্তরের পক্ষ থেকে সরাসরি এই কর্মসূচি নেওয়া হলে ম্যানগ্রোভ অরণ্যও বাঁচবে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন, ম্যানগ্রোভ রোপণের জন্য আমি বন দপ্তরের ডিএফও’র সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছি। বন দপ্তর জমি চেয়েছে। আমরা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত মারফত জমির খোঁজ চালাব। ম্যানগ্রোভের জন্য সমস্তরকম সহযোগিতাও আমরা করব। অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বন দপ্তরের ডিএফও অংশুমান মুখোপাধ্যায় বলেন, এই জেলায় আমাদের ডিভিশনে ম্যানগ্রোভ অঞ্চল কম রয়েছে। তবুও সেইসব এলাকায় ম্যানগ্রোভ লাগানোর ব্যাপারে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের সঙ্গেও আলোচনা করব। কারণ, তারা সারা বছর ম্যানগ্রোভ নিয়ে কাজ করে।