বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, পারিবারিক কোনও অশান্তির কারণেই ওই মহিলা গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। ঠিক কী কারণে সীমাদেবী আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন পুলিস তা তদন্ত করে দেখছে। খবর পেয়ে সীমাদেবীর স্বামী ওয়ালশ হাসপাতালে ছুটে আসেন। তবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি কোনও কথা বলতে চাননি।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুখার্জিপাড়ার বাসিন্দা সীমাদেবী বজবজের একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁর স্বামীও শিক্ষা দপ্তরের কর্মী। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই পারিবারিক কোনও বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে স্বামীর অশান্তি চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতেও একপ্রস্থ ঝামেলা হয়। তারপর অন্যান্য দিনের মতোই এদিন সকালে তিনি বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপরেই আমরা এইরকম ঘটনার কথা শুনতে পাই, জানান প্রতিবেশীরা।
যুগল আঢ্য ঘাটের কর্মীরা জানিয়েছেন, এদিন সকাল ৮ টা নাগাদ সীমাদেবী হাজির হন। বারাকপুরগামী ভুটভুটির একপাশে বসেন। ঘাট থেকে কিছুটা যাওয়ার পর মাঝগঙ্গায় নিজের ব্যাগ ও জুতো ভুটভুটিতে রেখে আচমকা জলে ঝাঁপ দেন। সঙ্গে সঙ্গেই পাশে থাকা যাত্রীরা চিৎকার শুরু করেন। এরপরেই জলসাথী প্রকল্পের কর্মী সঞ্জয় বিশ্বাস সীমাদেবীকে বাঁচাতে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। সাঁতার না জানায় সীমাদেবী জলে হাবুডুবু খেতে থাকেন।
সঞ্জয়বাবু জানান, জলে ঝাঁপ দেওয়ার পরেই আমি ওই মহিলাকে লাইফ জ্যাকেটের মাধ্যমে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা করি। ঘাটকর্মী ও যাত্রীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ততক্ষণে ঘাট থেকে আমার আরেক সঙ্গী রাজেশ আরেকটি ভুটভুটি নিয়ে আসার পর আমরা তাঁকে তুলে পাড়ে নিয়ে আসি। কিন্তু, তার আগেই ওই মহিলা অনেকটা জল খেয়ে ফেলেছিলেন। তাই আমরা প্রথমে মহিলা যাত্রীদের পেটে চাপ দিয়ে জল বের করার কথা বলি। কিন্তু, কেউ সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেননি। বাধ্য হয়ে আমরাই পেটে চাপ দিয়ে কিছুটা জল বের করে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠাই। ওই অবস্থায় পেট থেকে জল বের করতে না পারলে সীমাদেবীকে বাঁচানো মুশকিল হত।