বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
পঞ্চায়েত প্রধান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ওই চেয়ার কারখানা বলে নয়, ওই শিল্পতালুকে বহু কারখানা রয়েছে, যাদের আগুন নেভানোর উপযুক্ত কোনও পরিকাঠামো নেই। কারখানার ভিতরে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। এ বছর বহু মালিক ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করেনি। এই ঘটনার পর ঠিক করেছি, খুব শীঘ্রই সমস্ত কারখানার মালিকদের আমরা ডাকব। কারখানার ভিতরে উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে কি না খতিয়ে দেখার পরই আমরা ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করব। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, যাদের ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করা হয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? তিনি বলেন, তাদেরও বৈঠকে ডাকা হবে। একই নির্দেশ মেনে চলার জন্য বলা হবে। না হলে পরে আর লাইসেন্স রিনিউ করা হবে না। শিল্পতালুকের বাইরে উপযুক্ত রাস্তা ও নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র প্রায় ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। সেই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, কারখানা ভিতরের পরিকাঠামো ঠিক করার দায়িত্ব মালিকের।
১৯৯৪ সালে এই শিল্পতালুক গড়ে উঠেছে। এখন ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দু’শো কারখানা রয়েছে। ২০০০ সালে শিল্পাঞ্চলের জন্য নর্দমা তৈরি করা হয়েছিল। এই নর্দমার জল বোর্ড ঘরের কাছে সোদপুর- মধ্যমগ্রাম রোডের পাশে নর্দমায় গিয়ে পড়ত। সেই জল সোজা নোয়াই খালে গিয়ে পড়ত। এই ছিল এখানকার নিকাশি ব্যবস্থা। কিন্তু, শিল্পাঞ্চলের নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে দিনের পর দিন নর্দমায় নোংরা জমে তা মজে যায়। ফলে, নর্দমা দিয়ে কারখানার নোংরা জল সরত না। যার জেরে গত বছর বর্ষায় পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে।
স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, নর্দমা সংস্কার না করার ফলে একেবারে বেহাল হয়ে পড়েছিল। শিল্পাঞ্চলের বহু কারখানার ভিতরে জল ঢুকে যায়। নর্দমার পাশে থাকা বহু বাড়িও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের কর্তারাও এই এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন। সেই সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাম্প চালিয়ে জল বের করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী সকলে এই জ্বলন্ত সমস্যার বিষয়টি শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রকে জানান। এই খাতে তিনি মোটা টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছেন। বাইরের পরিকাঠামো বেহাল হওয়ার পাশাপাশি কারখানাগুলির ভিতরের অবস্থাও ভালো নয়।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, সারিবদ্ধভাবে একের পর এক কারখানা রয়েছে। কিন্তু কোনও পরিকাঠামো নেই। চেয়ার কারখানার ভিতরে তো কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিল না। দূরে পুকুর থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। কারখানার ভিতরে হাতেগোনা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল। যা কারখানায় ছোট আগুন লাগলেও নেভাতে কাজে আসত না। শিল্পতালুকের পরিকাঠামো দেখে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। আগুন লাগার পর কারখানাগুলির হাল ফেরাতে পঞ্চায়েতও এবার কোমর বেঁধে নামছে।