বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বিদ্রোহ দাস। বয়স আনুমানিক ২৯ বছর। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে তাঁর বাড়ি। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে ওই যুবকের সঙ্গে বেশ কয়েকমাস আগে স্বরূপনগরের এক দ্বিতীয়বর্ষের কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। প্রথমে স্বাভাবিক আলাপচারিতা হলেও পরবর্তী সময়ে সেই আলাপ থেকে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। মাস কয়েক যাবৎ সেই প্রেম চলছিল। প্রেমিকের ইচ্ছে হয়েছিল, তিনি প্রেমিকার সঙ্গেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে কাটাবেন। চমক দেওয়ার জন্য তাই বুধবারই কোচবিহার থেকে আচমকা স্বরূপনগরে প্রেমিকার বাড়িতে এসে হাজির। ডেনিম জিন্সের প্যান্ট এবং ফুলহাতা সাদা-সবুজ চেকের জমা পরা অবস্থায় প্রেমিককে বাড়িতে দেখে প্রেমিকাও অবাক হয়ে যান। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরই নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের প্রেমের সম্পর্কে ছন্দ কাটে। ওইদিনই তিনি প্রেমিকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যান।
তবে, কোচবিহার ফিরে যাননি। তিনি প্রেমিকার বাড়ির আশপাশেই ঘুরে বেড়াতে থাকেন। সন্ধ্যার পর থেকে তাঁকে আর দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন দেখেন, বালকী হাইস্কুল চত্বরে একটি ছাউনির নীচে তাঁর মৃতদেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে স্বরূপনগর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রেমিকের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, প্রেমিকার বাড়ির সামনে প্রেমিকের আত্মহত্যার ঘটনায় গোটা এলাকায় শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিস জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। বাড়ির লোকজনকে খবরও দেওয়া হয়েছে। প্রণয়ঘটিত কারণেই এই ঘটনা।
কিন্তু, আত্মহত্যা করলেন কেন? এক পুলিস অফিসার বলেন, তদন্তের জন্য আমরা তাঁর ‘প্রেমিকা’ এবং তাঁর বাড়ির লোকজনদের সঙ্গেও কথা বলেছি। ওই প্রেমিকা পুলিসকে জানিয়েছেন, মিথ্যা কথা বলে তাঁর সঙ্গে প্রেম করেছিলেন ওই যুবক। তিনি বলেছিলেন, একটি নামী কোম্পানির বড় পদে চাকরি করেন। মাসে এক লক্ষ টাকা বেতন পান। কিন্তু, বাড়িতে এসে তিনি বলেন, মাত্র ১৪ হাজার টাকা মাইনে! দ্বিতীয়ত, বাড়িতে আসার পর ওই যুবক ছাত্রীকে বিয়ে করারও প্রস্তাব দেন। কিন্তু, ছাত্রীর বাড়ির লোকজন তাঁকে বলেন, তোমার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে এস। তাঁদের সঙ্গে কথা না বলে বিয়ের কোনও আলোচনা হবে না। ওই অফিসার বলেন, মৃতদেহ উদ্ধারের পর কোচবিহারের স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সেখান থেকে তারা খোঁজ নিয়ে জানিয়েছেন, ওই যুবক বিবাহিত। স্থানীয় থানা মারফত তাঁদের বাড়ির লোকজনকেও খবর দেওয়া হয়েছে।