বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে কন্ট্রোল রুম থেকে মাইক বাজানোর খবর পেয়ে টহলদারি এক সাব ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিসকর্মী পাথরঘাটায় যান। অনুষ্ঠানে জোরে মাইক ও সাউন্ড বক্স বাজছে এমনটাই তাঁরা দেখেন। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলার কারণে তাঁরা মাইক বন্ধ করে অনুষ্ঠান চালাতে বলেন। এরপর কিছু মানুষ মাইকে প্রচার করেন যে, পুলিস অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে ও ভাঙচুর করেছে। কিছু মানুষ গুজব রটিয়ে এলাকার শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এরপর মাইকে গ্রামবাসীদের ডেকে সভা করে তারা পাথরঘাটা গ্রামের মূল রাস্তা বন্ধ করে দেন ও বিক্ষোভ দেখান। এদিন সকালে ৫ জন পুলিস ট্রাফিকের কাজ করতে সেখানে যান। বিক্ষোভরত বাসিন্দারা দুটি বাইক ভাঙচুর করেছে। পুলিসকর্মীদের মারধর করেছে। ওই ঘটনায় পুলিস মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয়দের অবশ্য বক্তব্য, ৪৮ ঘণ্টার ওই অনুষ্ঠান দীর্ঘকাল ধরে হয়ে আসছে। মদ্যপ অবস্থায় পুলিস পুজো মণ্ডপে উঠে পড়ে। কোনও পুলিসের গাড়ি তাঁরা ভাঙচুর করেননি। যে পুলিসকর্মীরা এই কাজ করেছেন তাঁদের শাস্তি চাই। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত ও রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর। প্রবীরবাবু এদিন জানান, ওই অনুষ্ঠান প্রতি বছর হয়। মাইক খুব জোরে বাজছিল না বলেই জানতে পেরেছি। পুলিস দেড়টা নাগাদ গিয়ে বারণ করার পরই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। মন্দির কমিটি আমাকে জানিয়েছে, পুলিস অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে বলেছে। জিনিসপত্র ফেলে দিয়েছে। এরপর গ্রামবাসীদের আহ্বান করে সবাইকে ভোরবেলায় পথ অবরোধ শুরু করেন। বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ তৃণমূল নেতৃত্ব বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।