বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট আমডাঙার মরিচা, তারাবেড়িয়া ও বোদাই — এই তিনটি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ছিল। আগেরদিন অর্থাৎ ২৮ আগস্ট রাতে তারাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের বইছগাছি গ্রামে গুলি ও বোমা বৃষ্টিতে মোট চারজন খুন হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন তৃণমূলকর্মী এবং একজন সিপিএম কর্মী ছিলেন। ঘটনার দিনই দু’জন তৃণমূলকর্মী এবং এক সিপিএমকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন তৃণমূলকর্মী মারা যান। গণ্ডগোলের পর থেকে এই তিনটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন স্থগিত রয়েছে। প্রসঙ্গত, আমডাঙা ব্লকের মোট আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এই তিনটিতে বোর্ড গঠন না হলেও, বাকি পাঁচটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়ে গিয়েছে।
এই তিনটি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতে কারা বোর্ড গঠন করবে তা নিয়েও শাসকদল এবং বিরোধীদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছেই। তবে, এদিন মরিচা পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য সোমনাথ ওরাও তৃণমূলের যোগদান করায় উচ্ছ্বাসিত ঘাসফুল শিবির। কারণ, মরিচা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল আটটি আসন পেয়েছিল। বিজেপি পেয়েছিল ন’টি আসন। বাকি তিনটি আসন পেয়েছিল বামফ্রন্ট। তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, মরিচায় ২০টি আসনের মধ্যে আমরা আটটি পেলেও পরবর্তীকালে বামফ্রন্টের দু’জন আমাদের দলে এসেছেন। এদিন বিজেপির একজন এলেন। ফলে, আমাদের মোট আসন ১১। আমরাই বোর্ড গঠন করব। তিনি আরও বলেন, তারাবেড়িয়া পঞ্চায়েতে মোট ১৯টি আসনের মধ্যে আমরা ৯টি পেয়েছিলাম। দু’জন বিরোধী আগেই আমাদের দলে এসেছেন। ফলে, সেখানেও আমরা বোর্ড করছি। বোদাই পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে আমরা পাঁচটি পেয়েছিলাম। তবে, গণ্ডগোলের পর নির্দল দু’জন আমাদের দলে এসেছেন। ফলে, সেখানেও আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েই বোর্ড করব। তিনটি পঞ্চায়েতেই ঘাসফুলের পতাকা উড়বে।
মরিচার দলত্যাগ প্রসঙ্গে বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া কনভেনার রঞ্জিৎকুমার পাসোয়ান বলেন, তৃণমূল বোর্ড গঠনের জন্য বিরোধীদের উপর গায়ের জোর দেখানো, প্রলোভন এবং পুলিসকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা, সবই করছে। এদিন আমাদের দলের একজন শুনলাম তৃণমূলে গিয়েছেন। তবে আমি নিশ্চিত নই। তাই সঠিক বলতে পারব না। তিনি বলেন, এটুকু বলতে পারি আমরা বোর্ড গঠনের মতো জায়গা তৈরি করেছিলাম বলেই, তৃণমূল চাপা সন্ত্রাস করছে।