কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
ভারতের কোচ স্টিভন কনস্টানটাইন এদিন দল সাজিয়েছিলেন ৪-৪-২ ফর্মেশনে। দুর্গরক্ষায় দীর্ঘদেহী গুরপ্রীত সিং সান্ধু। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে নামানো প্রথম একাদশে এদিন একটিমাত্র পরিবর্তন করেন ভারতের কোচ। মাঝমাঠে অনিরুদ্ধ থাপার বদলে তিনি সুযোগ দেন রোলিন বর্জেসকে। ম্যাচের শুরু থেকেই ফিজিক্যাল ফুটবল খেলে বাহরিন। শেষ ষোলোয় পৌঁছানোর জন্য যে কোনও মূল্যেই জয় প্রয়োজন ছিল তাদের। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী জামাল রশিদ-ধিয়ারা ফিফটি-ফিফটি বলেও জীবন বাজি রেখে ঝাঁপাতে থাকেন। চতুর্থ মিনিটে হাঁটুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আনাসকে। তাঁর পরিবর্তে সালামরঞ্জন সিংকে ব্যবহার করেন কোচ স্টিভন। প্রারম্ভিক পর্বে বাহরিনের একের পর এক আক্রমণ ভেসে আসে ভারতীয় বক্সে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে রশিদ মিডল করিডর দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানান বিপক্ষ রক্ষণকে। নতুন পার্টনার সালামরঞ্জন সিংকে নিয়ে সন্দেশ ঝিংগানের দুরন্ত লড়াই অবশ্যই তারিফযোগ্য। ৬ মিনিটে রোমাহি এবং ৮ মিনিটে রশিদের শট রুখে দেন গুরপ্রীত। নিজেদের মধ্যে দ্রুত তিন-চারটি পাস খেলে গোল তুলে নেওয়াই ছিল বাহরিনের লক্ষ্য। তাই সাইড বেঞ্চ থেকে দুই ডিফেন্সিভ মিডিওকে কিছুটা নামিয়ে আনতে বাধ্য হন কোচ। বিপক্ষের প্রধান তারকা রশিদকে ডাবল জোনাল মার্কিং করা হয়। প্রীতম-শুভাশিসদের গাইড করেন সন্দেশ ঝিংগান। বিপক্ষের আক্রমণের সময় দুই উইং ব্যাকই বারবার নিজেদের পজিশনে ছিলেন না।
মিনিট কুড়ির পর ক্রমশ নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করে ভারত। বাঁ দিক থেকে নেওয়া হোলিচরণ নার্জারির শট বিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কর্নার হয়। ডানপ্রান্তে উদান্তা সিংয়ের বুদ্ধিদীপ্ত এবং সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে প্রণয় হালদারের লড়াকু পারফরম্যান্সের ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে স্টিভন কনস্টানটাইন-ব্রিগেড। অভিজ্ঞ সুনীল ছেত্রীও প্রয়োজন অনুযায়ী মাঝমাঠে নেমে আসায় রোলিন বর্জেসদের কাজ সহজ হয়। তবে ভারতীয় মিডফিল্ডে নিখুঁত পাসারের অভাব এদিন চোখে পড়েছে। সংযোজিত সময়ে জুমার হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন প্রণয় হালদার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আশিক কুরিয়ানকে তুলে নিয়ে জেজেকে মাঠে নামান স্টিভন। লক্ষ্য ছিল, আপফ্রন্টের শক্তি বাড়ানো। এই পর্বেও বাহরিনের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে দিশাহারা হয়ে পড়ে ভারত। ৬৩ মিনিটে রশিদের ফ্রি-কিক সোজাসুজি জমা পড়ে গুরপ্রীত সিং সান্ধুর হাতে। এর মিনিট সাতেক পরে হেলালের প্রয়াস প্রথম পোস্টে প্রতিহত হয়। সত্তর মিনিটের পড়ে বেদম হয়ে পড়েন কনস্টানটাইন-ব্রিগেডের অনেকেই। ৭৩ মিনিটে শুভাশিস বসুর ব্যাকপাস হাতে ধরেন গুরপ্রীত। সামনে দাঁড়ানো রেফারি বক্সের মধ্যে ইনডাইরেক্ট ফ্রি-কিকের নির্দেশ দেন। তবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ফিফা র্যা ঙ্কিংয়ে ভারতের থেকে পিছিয়ে থাকা বাহরিন। মাঝমাঠ জমাট করার উদ্দেশ্যে ৭৯ মিনিটে হোলিচরণ নার্জারিকে তুলে অনিরুদ্ধ থাপাকে নামাতে বাধ্য হন ভারতের কোচ। শেষপর্বে কাঙ্ক্ষিত গোলের জন্য একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে বাহরিন। ৮৫ মিনিটে ভেসে আসা কর্নার দুরন্তভাবে রুখে দেন গুরপ্রীত। ৯০ মিনিটে বক্সের মধ্যে শামশানকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন প্রণয় হালদার। রেফারি সঙ্গত কারণেই পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি জামাল রশিদের (১-০)।