কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
অস্ট্রেলিয়ার কাছে মঙ্গলবার হারলেই তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ খোয়াবে ভারত। তবে ভুবনেশ্বরের আশা, পয়া ভেন্যু অ্যাডিলেডে ঘুরে দাঁড়াবে তার দল। এই ভেন্যুতেই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি জিতেছিল ভারত। সোমবার অনুশীলন শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ভুবি বলেন, ‘আমাদের কাছে বাকি দুটি ম্যাচ নক-আউট পর্বের মতো। কাজেই আমাদের এই ম্যাচটা কিছুতেই হারা চলবে না। প্রথম ম্যাচে আমাদের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছিল। এটা খুবই বিরল ঘটনা। আমার বিশ্বাস, অ্যাডিলেডে জিতে সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে সর্বশক্তিতে ঝাঁপাবে গোটা দল। মেলে ধরতে হবে আরও ভালো পারফরম্যান্স। নিজেদের সক্ষমতার ওপর আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে।’
যশপ্রীত বুমরাহ বিশ্রামে থাকায় ভারতের পেস বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু প্রথম ওয়ান ডে’তে প্রচুর রান দিয়েছেন তিনি। ডেথ ওভারে অজি ব্যাটসম্যানরা হাত খুলে মেরেছেন তাঁকে। ২ উইকেট পেলেও ১০ ওভারে ভুবনেশ্বর ব্যয় করেছেন ৬৬ রান। হতাশ করেছেন তাঁর সঙ্গী পেসার খলিল আহমেদও। তিনি ৮ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান। এই প্রসঙ্গে ভুবনেশ্বর বলেন, ‘সিডনিতে আমরা প্রথমদিকে ওদের ভালোই আটকে রেখেছিলাম। কিন্তু স্লগ ওভারে সেই চাপ বজায় রাখতে পারিনি। সেই সুযোগ নিয়ে শেষদিকে ওরা অনেক বেশি রান স্কোরবোর্ডে জুড়ে নিয়েছে। তবে এমনটা যে রোজ হবে না, এই প্রতিশ্রুতি আমি এখনই দিয়ে রাখছি।’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মাঠে নামার সুযোগই পাননি ভুবনেশ্বর। এতগুলো দিন কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলার ফলে তাঁর বোলিংয়ের চেনা ছন্দ নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। ভুবির কথায়, ‘নিয়মিত না খেলার ফলে আমার বোলিংয়ের ছন্দ খানিকটা হলেও বিনষ্ট হয়েছে। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে ম্যাচে বল করার তাৎপর্যই আলাদা। ছন্দে থাকার জন্য নেটে আমি প্রচুর পরিশ্রম করি। তবু কখনও কখনও সবকিছু নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী হয় না। সিডনিতে আমি খুব ভালো পারফরম্যান্স না করলেও, অত্যন্ত খারাপ বোলিংও করিনি। যতো ম্যাচ খেলব, ততই আমার বোলিংয়ের ধার বাড়বে।’ সেই সঙ্গে ভুবি বলেছেন, ‘ছন্দে থাকার জন্য আমি সব রকম চেষ্টাই করেছি। টেস্ট সিরিজে সুযোগ না পেলেও যে কোনও ম্যাচে নামানো হতে পারে, এটা ভেবেই বল করেছি নেটে। স্বাভাবিক বোলিংই করে গিয়েছি। নিয়মিত আট-দশ ওভার বোলিং করেছি। কিন্তু ভুললে চলবে না, নেটের সঙ্গে ম্যাচে বল করার অনেক ফারাক রয়েছে।’
টেস্ট সিরিজের সময় তিনি পুরো ফিট ছিলেন না বলেও স্বীকার করেছেন ভুবনেশ্বর কুমার। তিনি বলেন, ‘আমি সুস্থই ছিলাম। কিন্তু নিজেকে একশো শতাংশ ফিট বলছি না। টেস্ট হল পাঁচ দিনের খেলা। টানা পাঁচ দিন ধরে খেলার অবস্থায় ছিলাম কিনা সন্দেহ ছিল নিজেরই। ভালো দিক হল যে আমাদের এমন বোলাররা ছিল যারা ফিট ছিল। ফলে আমি একশো শতাংশ ফিট হওয়ার সময় পেয়েছি।’ ভুবির এই বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধছে। একজন আনফিট ক্রিকেটারকে কেন বিদেশ সফরে এতদিন ধরে বয়ে বেড়াল দল, তার কোনও জবাব অবশ্য এখনও দেননি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা নির্বাচকরা।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার প্রথম ধাপ হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ জয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন আলেক্স ক্যারি। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে অজি সহ-অধিনায়ক ক্যারি বলেছেন, ‘শুধু খেলোয়াড় নয়, একজন ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে আমি অস্ট্রেলিয়ার জয় দেখতে চাই। আমাদের কাছে প্রতিটি ম্যাচই বিশেষ কিছু। তবুও বলব, গুরুত্বের দিক থেকে ভারতের বিরুদ্ধে মঙ্গলবারের ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সম্প্রতি আমাদের সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। আমার বিশ্বাস, একটা সাফল্যই গোটা দলের চেহারা বদলে দেবে। সিডনির জয় আমাদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে সিরিজ জয়ের। কাজেই মঙ্গলবার জিততে পারলে তা দারুণ ব্যাপার হবে। আমরা যদি আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারি, তবে লক্ষ্যপূরণ অসম্ভব নয়।’ উল্লখ্য, ২০১৭ সালের জানুয়ারির পর কোনও দ্বিপাক্ষিক ওয়ান ডে সিরিজ জিততে পারেনি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শেষ ২৬টি ম্যাচের মধ্যে হেরেছে ১৯টি ম্যাচেই। মঙ্গলবার দীর্ঘ দুই বছরের খরা কাটাতে চায় অ্যারন ফিনচের দল। সেক্ষেত্রে টানা ছয়টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারের পর সাফল্যের মুখ দেখবে অজি বাহিনী।