বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, কোদালবস্তি রেঞ্জের জঙ্গলে এক সপ্তাহ আগে জোড়া স্ত্রী হাতির মৃত্যু হলেও কতর্ব্যরত বন কর্মীরা তা দেখতেই পাননি। তাই কর্তব্যে গাফিলতির জন্য এক বিট অফিসার সহ চার বন কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জোড়া হাতির মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট সার্ভিস এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের জলদাপাড়া ওয়াইল্ড লাইফের বিভাগীয় সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক মন্তোষ ধর বলেন, শো-কজ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এভাবে সরকারি কোনও কর্মীকে সাসপেন্ড করা যায় না। সব সময় নীচুতলার কর্মীদের কেন বলির পাঁঠা করা হবে? তাহলে এই ঘটনায় কেন রেঞ্জারকে সাসপেন্ড করা হবে না? তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সংগঠনের তরফে ডিএফও’র কাছে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হবে।
এদিকে, গত এক মাস ধরে ছুটিতে থাকা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল আজ, শুক্রবার কাজে যোগ দেবেন। ডিএফও কাজে যোগ দিলেই এই সাসপেন্ডের প্রতিবাদে বন কর্মীদের সংগঠন প্রতিবাদপত্র দেবে। ক্ষুব্ধ বন কর্মীরা বলেন, হাতি দু’টির মৃতদেহ উদ্ধারের আগে টানা বর্ষণ ও প্রাকৃতিক দুর্গোগ চলছিল। টানা বর্ষণের জেরে রাতে গভীর জঙ্গলে নজরদারি চালাতে অসুবিধা হয়েছে। তাই ঘটনাটি নজরে পড়েনি। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার কোদালবস্তি রেঞ্জের জঙ্গলে জোড়া স্ত্রী হাতির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হতেই শোরগোল পড়ে যায়। হাতি দু’টির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহাংশের নমুনা ভিসেরা পরীক্ষার জন্য হায়দরাবাদ ও কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।