বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এসজেডিএ নিয়ন্ত্রিত বিধান মার্কেটের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার বিষয়ে কয়েকদিন আগেই সরব হন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এসজেডিএ কর্তৃপক্ষও বেআইনিভাবে নির্মাণ হওয়া ২০ জন ব্যবসায়ীর কাছে নোটিস পাঠায়। এরপরই তৃণমূলের কাউন্সিলার নান্টু পালের সঙ্গে পর্যটনমন্ত্রীর তরজা চরমে ওঠে। এমন প্রেক্ষাপটে শাসকদল তৃণমূলকে ঘায়েল করতে আসরে নেমেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। বিধান মার্কেট ইস্যু নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
অশোকবাবু বলেন, কয়েকদিন ধরে বিধান মার্কেটের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে একজন মন্ত্রী ও তাঁর দলের এক কাউন্সিলারের বাদানুবাদ লক্ষ্য করলাম। বোঝা যাচ্ছে না— লড়াইটা অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে, না দলের অভ্যন্তরের ইগোর লড়াই। কয়েকজন অবৈধ নির্মাণকারীকে নিয়ে মন্ত্রী বৈঠক করে সমস্যাটিতে আপাতত জল ঢেলে দিয়েছেন। জনসাধারণকে জানাতে চাই, বিধান মার্কেটের অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতে হলে এসজেডিএ এবং পুরসভার যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন। কারণ সংশ্লিষ্ট বাজারের মালিক এসজেডিএ। ভাড়া আদায় করে পুরসভা। এখানে পর্যটন দপ্তরের কোনও সম্পর্ক নেই। মন্ত্রী চাইলে এখানে সহযোগিতা করতে পারেন। কিন্তু, তা না করে যা হচ্ছে, তার সঙ্গে উন্নয়নের কোনও সম্পর্ক নেই। এভাবে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা যায় না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কে ঠাকুর ঘরে? কে কলা খায়? কে কলা খায় না? কারা এই শহর বেচে দিতে চাইছে? সেই নামগুলি মন্ত্রী প্রকাশ্যে আনুন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস আড়াই বছর, আমরা আড়াই বছর পুরসভার দায়িত্ব সামলেছি। মাত্র আট বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় আছি। আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী ছিলাম। এখন পর্যটনমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই শহরের দায়িত্বে রয়েছেন অশোকবাবুরা। কাজেই, এতদিন ধরে এই শহরে যত বেআইনি কাজকর্ম হয়েছে, তার দায়দায়িত্ব কার? পর্যটনমন্ত্রীর? এতদিন শহরে যা বেআইনি কাজ হয়েছে, তা অশোকবাবুর মদতেই হয়েছে। আর অশোকবাবুর কাছ থেকে জ্ঞান নিতে হবে না। আমি আইনের ছাত্র। সংবিধান জানি। ওঁকে সংবিধান পড়াতে পারব। আমার দায়িত্ব সম্পর্কে আমি অবহিত। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি আমার কাজ করছি। জোড় হাত করে বলছি, শহরের মেয়রের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া আমি দেব না। এ ব্যাপারে যা বলার পুরসভার বিরোধী দলনেতা বলবেন। বামফ্রন্টের রাজ্যস্তরের নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া চাইলে দিতে পারি।
অন্যদিকে, এই ইস্যু নিয়ে কংগ্রেসও রাস্তায় নেমেছে। বুধবার তারা বিধান মার্কেটে বিক্ষোভ সভা করেছে। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্করবাবু বলেন, মন্ত্রীর হম্বিতম্বিই সার। বিধান মার্কেটের বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হল না। বরং বেআইনিভাবে নির্মাণ হওয়া স্টলগুলিতে ব্যবসা শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। বিধান মার্কেট থেকে হারিয়ে যাওয়া কুয়া, পার্ক ও টয়লেট ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। বেআইনি নির্মাণ শুধু বিধান মার্কেটের সমস্যা নয়। গোটা শহরেই বেআইনি নির্মাণ ও জবরদখল ছড়িয়ে পড়েছে। নদীর চরও দখল হয়ে যাচ্ছে। কাজেই, কলকাতার মতো শিলিগুড়ি শহরকেও সম্প্রসারিত করা জরুরি। কাওয়াখালিতে প্রচুর জমি রয়েছে। সেখানে এই শহরকে সম্প্রসারিত করার দাবি তোলা হয়েছে। সুতরাং, অযথা বড় বড় কথা না বলে মন্ত্রী এব্যাপারে উদ্যোগী হলে তাঁর পাশে থাকব। শঙ্করবাবু মন্তব্য নিয়েও পর্যটনমন্ত্রী কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।