কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
পঙ্কজবাবু আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ব্ল্যাক প্যান্থার নয়, সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি হিমালয়ান ভাল্লুককেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু, গ্রামবাসীরা কেউ সেটির ছবি তুলতে পারেননি। শহরের একেবারে সন্নিকটে এভাবে ব্ল্যাক প্যান্থার দেখতে পাওয়ার ঘটনায় পাহাড়বাসীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানাজানি হতেই এবিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন বন দপ্তরের কর্তারাও। দার্জিলিং সিঙ্গালিলা জোড়বাংলো বনাঞ্চলের রেঞ্জার ললিত প্রধান বলেন, এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য কিছু জানাননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়েছে। আমরা ওই ভিডিও ও ছবি খতিয়ে দেখছি। পান্ডাম বস্তি ও আলুবাড়ি এলাকায় ভাল্লুকের অস্তিত্ব আছে। তাই কোনওভাবে ভাল্লুককে ভুল করে ব্ল্যাক প্যান্থারের সঙ্গে গ্রামবাসীরা গুলিয়ে ফেলছেন কি না, তা আগে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবু ওই দু’টি এলাকায় আগামী কয়েকদিন নজরদারি রাখা হবে বলে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দার্জিলিংয়ের ডিএফও বিজয় বিকাশ জানিয়েছেন, ছবি বা ভিডিওটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ভাইরাল না করে গ্রামবাসীরা তাঁদের দিলে ভালো হতো। কারণ ব্ল্যাক প্যান্থার সিডিউল-১ প্রাণী। তাই তার উপর কড়া নজরদারি রাখা প্রয়োজন। খবর পাওয়ার পর এবিষয়ে তাঁরা স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন। পাশাপাশি বন দপ্তরের পক্ষ থেকেও এলাকায় নজরদারি করা হবে।
তবে ওই দুটি পাহাড়ি গ্রামে আগেও ব্ল্যাক প্যান্থার দেখতে পাওয়ার প্রমাণ রয়েছে। যদিও সেভাবে গ্রামবাসীদের সামনা-সামনি চলে আসার খবর কোনওদিনই আসেনি। তাই বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এবিষয়ে ভীত না হয়ে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, কোথাও কোনওকিছু দেখলেই বন দপ্তরকে খবর দিতে। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রবিকান্ত সিনহা বলেন, গোটা বিষয়টি তিনি জানেন। তবে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ডিভিশনকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।