কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
আরএসপি’র বিধায়ক মনোহর তিরকি লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিতে যাওয়ায় ২০০৯ সালে কালচিনি বিধানসভার উপনির্বাচন হয়। সেই উপনির্বাচনেই অবিভক্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে জিতে যান একদা বিমল গুরুংয়ের কাছের লোক উইলসন চম্প্রমারী। পরে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও অবিভক্ত মোর্চার নির্দল প্রার্থী হিসাবে জিতে যান উইলসনবাবু। এরপর মোর্চা দু’ভাগ হওয়ার পর তিনি শাসক দল তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোটে জেতেন। সেই উইলসনবাবুর হঠাৎ করে দল পাল্টানোর পিছনে কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (জেডিএ) চেয়ারম্যান পদ থেকে রাজ্য সরকার সম্প্রতি তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আর তাতেই উইলসনের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা ছড়িয়েছে।
দলীয় বিধায়কের এই দল ছাড়ার জল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, উইলসনের প্রতি দলের কোনও মোহ নেই। কালচিনির বিধায়ক আগে থেকেই বিজেপি’র দিকে পা বাড়িয়ে ছিলেন। তিনি বিজেপিতে গেলে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না, বরং ভালো হবে। বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, তৃণমূলের অনেক বিধায়কই আমাদের দলে আসার জন্য যোগাযোগ করছেন। দলে যোগ দিতে কালচিনির তৃণমূল বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারী দিল্লি গিয়েছেন। দিল্লি থেকে টেলিফোনে উইলসনবাবু বলেন, এখন দিল্লিতে কাজে ব্যস্ত আছি। এবিষয়ে পরে কথা হবে।
এদিকে, শনিবার কালচিনির মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েতের পাঁচ কংগ্রেস সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। সোনু খাঁড়িয়া নামে কংগ্রেসের কালচিনি পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যও এদিন বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। কংগ্রেসের কালচিনি ব্লক সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ নার্জিনারীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ওই ছয় জন প্রতিনিধি বিজেপিতে যোগ দেন। অভিজিৎবাবু নিজেও মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েতের সদস্য। অভিজিৎবাবু বলেন, দেশে কংগ্রেসের আর কোনও ভবিষ্যৎ নেই। কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ না থাকা এবং শাসক দল তৃণমূলের সন্ত্রাস, তোলাবাজি ও দুর্নীতির প্রতিবাদেই আমরা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম। এদিকে, অভিজিৎবাবু ও দলের জনপ্রতিনিধিদের দল ছাড়ার প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি গজেন বর্মন বলেন, দলীয় কাজে কলকাতায় আছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। শহরে ফিরে এবিষয়ে খোঁজখবর নেব। উল্লেখ্য, মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েতে মোট আসন ১১টি। পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস সাত ও তৃণমূল চারটি আসন পায়। পরে কংগ্রেসের দুই সদস্যকে দলে টেনে ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। কংগ্রেসের পাঁচ জন সদস্য বিজেপি’তে যোগ দিলেও অঙ্কের হিসাবে মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েতের বোর্ড এখনও তৃণমূলের হাতেই থাকছে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, শীঘ্রই মেন্দাবাড়ি তাদের দখলে আসবে।