পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এদিন সকাল ৭টা থেকেই বাঁধ রোডে জেলা পুলিস সুপারের বাসস্থান সংলগ্ন এলাকায় স্বামী বিবেকানন্দের পূর্ণাবয়ব মূর্তির কাছাকাছি জড়ো হতে থাকেন নাগরিকরা। একই সঙ্গে বৃন্দাবনী ময়দান থেকে শুরু হয় প্রভাত ফেরির প্রস্তুতি। সকাল ৮টায় স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে প্রথম মাল্যদান করেন মালদহ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ত্যাগরূপানন্দ। এরপর একে একে ইংলিশবাজারের বিধায়ক অথা পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা বঙ্গরত্ন রাধাগোবিন্দ ঘোষ সহ স্বামীজির অনুরাগী অনেকেই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
প্রভাত ফেরির শুরুতে এগতে থাকে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সাগ্নিক চক্রবর্তী, ষষ্ঠ শ্রেণীর নীলাঞ্জন দাস, অষ্টম শ্রেণীর শুভজিৎ ঘোষ এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র সাগ্নিক মিশ্র। তাঁদের পিছনে ছিলেন সন্ন্যাসী, বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ইংলিশবাজারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০০ ছাত্রছাত্রী।
প্রভাত ফেরি বিজি রোড বরাবর এগতে শুরু করলেই দেখা যায় স্বামীজির বেশে সজ্জিত চার কিশোরের ছবি তোলার জন্য বাসিন্দারা হামলে পড়ছেন। মকদমপুর, গৌড় রোড, কৃষ্ণজীবন সান্যাল রোড, রাজমহল রোড, ফোয়ারা মোড়, নেতাজি সুভাষ রোড— বাঁক, মোড় ঘুরে যখন যে রাস্তায় এগিয়েছে প্রভাত ফেরি, সেখানেই আমজনতা মোবাইল ক্যামেরায় কিশোর স্বামীজিদের ছবি তুলতে থাকেন। তাতে অবশ্য খুব একটা ভ্রূক্ষেপ ছিল না এই চার কিশোরের। শিক্ষক তথা রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজদের প্রশিক্ষণ অনুযায়ী সামনের লক্ষ্য স্থির রেখে তারা এগিয়েছে শ্লথ গতিতে কিন্তু দৃপ্ত ভঙ্গিমায়।
শুভজিত, সাগ্নিক, নীলাঞ্জন’রা প্রায় একই সুরে বলে, আমরা যে স্বামীজির ভূমিকায় নির্বাচিত হব তা স্বপ্নেও ভাবিনি। স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের স্বপ্নের নায়ক। তাঁর মতো করে সাজতে পেরে এক রকম শিহরণ হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যেন আমরা সত্যিই সন্ন্যাসী হয়ে উঠেছি। সাগ্নিক মিশ্র বলে, শুধু স্বামী বিবেকানন্দের মতো সাজ নয়, এই মহাপুরুষের জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে চাই সারা জীবন।