পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
জয়গাঁর অতিরিক্ত জেলাশাসক গণেশ বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে ফালাকাটা থানার আইসি’কে। ওই ঘটনার পর ফালাকাটা থানার আইসিকে অন্য থানায় বদলি করা হয়। তাঁর জায়গায় সমীরবাবুকে পাঠানো হয়। শুক্রবারই সমীরবাবু ফালাকাটা থানার আইসি পদে কাজে যোগ দিয়েছেন। সমীরবাবু বলেন, ওই ঘটনার তদন্তভার আমাকে দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শুরু করার আগে জেলা পুলিস সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। এর বাইরে আর কোন কথা বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
সমীরবাবু ১৯৯০ সালে পুলিসের চাকরিতে যোগ দেন। ৪৯ বছর বয়সী সমীরবাবু এর আগে রায়গঞ্জ, ইসলামপুর ও কোচবিহার থানায় আইসি পদে কাজ করেছিলেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে সমীরবাবুর উপর ভরসা রাখছে পুলিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। সেজন্যই সমীরবাবুকে এই ঘটনার তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করার আগে এই অভিযোগের তদন্তের গতি প্রকৃতি কীভাবে এগোবে শনিবার তার বিস্তারিত নির্দেশিকা পুলিস সুপার সুনীল কুমার যাদবের কাছে বুঝে নিয়েছেন সমীরবাবু।
ফেসবুকে কটূক্তির জেরে ছেলে বিনোদকে সস্ত্রীক জেলাশাসক মারধর করে বলে ওর বাবা রাজমোহনবাবু ফালাকাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় বিনোদ দোষী কিনা এই ব্যাপারটিই প্রশ্নচিহ্নের সন্মুখীন বলে দাবি করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি(এপিডিআর)। সেজন্য শনিবার এপিডিআরএর আলিপুরদুয়ার শাখা একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, এই ঘটনা পুলিসের সাইবার শাখা তদন্ত করে দেখুক। ওই কর্মকান্ডে প্রাক্তন জেলাশাসকের স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণাণের কয়েকজন বন্ধু ভালোভাবে জড়িত। তাদেরও শাস্তি প্রাপ্য বলে এপিডিআর দাবি তুলেছে।
এদিকে নতুন জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস কাজে যোগ দেওয়ার আগে জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যায় জেলাশাসকের চেম্বার শনিবার সাফসুতরো করা হয়। পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের চেম্বারে লাইটও লাগানো হয়। এদিন রাতের মধ্যেই নতুন জেলাশাসকের শহরে ঢোকার কথা। সোমবার কাজে যোগ দেওয়ার আগে শনি ও রবিবার দু’দিন নতুন জেলাশাসকের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে সার্কিট হাউসের দোতলার এক নম্বর ঘরে। নতুন জেলাশাসককে আনতে শনিবার সকালে শিলিগুড়িতে নিরাপত্তা কর্মীসহ গাড়িও পাঠানো হয়েছে।
ডুয়ার্সকন্যা সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকালেই প্রাক্তন জেলাশাসককে জেলাশাসকের বাংলোতে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এদিন প্রাক্তন জেলাশাসক নিখিল নির্মল অবশ্য সস্ত্রীক বাংলোতেই ছিলেন। কিন্তু বাংলোতে থাকলেও বাইরের লোককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।