বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
আগের শুনানির দিন রাজ্যের কাছে এই কমিশন সম্পর্কেই তথ্য জানতে চেয়েছিল বেঞ্চ। এদিন সেই সূত্রে রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে জানান, আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে রাজ্য মোট ২৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। তার মধ্যে ২৫১ কোটি টাকা আমানতকারীদের ফেরানো হয়। অর্থাৎ, ৩৬ কোটি টাকা কমিশনের হেফাজতে রয়ে গিয়েছিল। এই অবস্থায় আমানতকারীদের তরফে আইনজীবী শুভাশিস রায় ও অরিন্দম দাস আদালতকে জানান, আমানতকারীদের চেকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। অথচ, প্রায় ১০২ কোটি টাকার চেক থেকে বিভিন্ন কারণে আমানতকারীরা কোনও টাকা পাননি। ফলে কমিশনের হেফাজতে কার্যত থেকে গিয়েছে প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা। এই অবস্থায় বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চায়, ঠিক কারা টাকা পেয়েছিলেন, সেই তথ্য পেশ করতে হবে। যে অর্থ থেকে গিয়েছে, তা নিয়ে রাজ্য কী ভাবছে, তাও জানাতে হবে। তৃতীয়ত, সারদায় টাকা রেখে প্রতারিতরা কীভাবে টাকা ফেরত পেতে পারেন, সেই প্রসঙ্গে রাজ্য কী ভাবছে বা কোনও প্রস্তাব থাকলে, তা জানানো হোক।
সারদার পর এদিন বিশেষভাবে গঠিত এই বেঞ্চের সামনে রোজভ্যালি প্রসঙ্গে শুনানি শুরু হলে অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটি জানায়, এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের (ইডি) হাতে রোজভ্যালির প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি এসেছে। তার মধ্যে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্কে রয়েছে। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুল ফ্রিজ করা রয়েছে। এই অর্থ আমানতকারীদের ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, আমানতকারীদের তরফে আইনজীবী জয়দীপ কর আদালতকে জানান, এই সংস্থার বেশকিছু শাখা সংস্থা এখনও ব্যবসা করে চলেছে। কমিটির রিপোর্টে সেকথা বলা হলেও সেইসব সংস্থার নাম নেই। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে বেঞ্চের নির্দেশ, রোজভ্যালির বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি ও অর্থ আমানতকারীদের কীভাবে ফেরত দেওয়া যায় এবং তাদের কোন কোন ব্যবসা কীভাবে চলছে, তা পরবর্তী শুনানিতে জানানো হোক।