বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
অলিম্পিক বা আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও ক্রীড়া বা অ্যাথলেটিক্স ইভেন্টে ভারতের ফলাফল বরাবরই বেশ খারাপ। তাই স্কুলস্তর থেকেই যাতে প্রতিভা তুলে আনা যায়, সে ব্যাপারটায় আরও বেশি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। এই নির্দেশগুলি সেই লক্ষেই করা হয়েছে। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যেমন স্কুলস্তরে প্রতিভা অন্বেষণের জন্য একটি দল তৈরি করছে। কিছু শিক্ষক, যাঁদের অ্যাথলেটিক্স বা যে কোনও অনুমোদিত খেলায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ রাজ্য, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকলে, সেই অনুযায়ী অগ্রাধিকার পেয়েছেন। সেই শিক্ষকদের পেশাদার কোচরা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাঁরা এবার রাজ্যের বিভিন্ন স্তরে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবেন। তাঁরা প্রতিভা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের খুঁজে বের করবেন। স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই) প্রশিক্ষণও দেবে। স্কুলস্তরের ক্রীড়া খাতেও টাকা বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি স্কুলকেই ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল ফর স্কুল স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস থেকে অনুমোদন নিতে হবে। শিক্ষকদের অন ডিউটি লিভ দিতে চাইলে, আগে থেকে এই কাউন্সিল এবং প্রধান শিক্ষক আবেদন জানাবেন। তার পরেই মিলবে ছাড়পত্র। জেলাস্তরের প্রতিযোগিতার জন্য ডিস্ট্রিক্ট অফিসার ফর ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড ইউথ ওয়েলফেয়ার-এর থেকে আবেদন আসতে হবে। তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। প্রতিটি স্কুলকেই জেলা বা মহকুমা স্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য দল পাঠাতে হবে। প্রতিযোগী দলের থাকার জন্য স্কুলের অংশবিশেষ বা গোটা বিল্ডিংই প্রয়োজনে ছেড়ে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি, এটাও মাথায় রাখতে হবে, এর জন্য যেন দৈনন্দিন পঠনপাঠনে কোনও বিঘ্ন না ঘটে।