বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, নিরপেক্ষ স্থান শিলংয়ে গিয়ে রাজীবের মুখোমুখি হোক সিবিআই। ওই নির্দেশের পরই কলকাতার পুলিস কমিশনার নিজে চিঠি লিখে সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের মুখোমুখি হতে চান। রাজীবের সেই দাবি মানেনি সিবিআই। সারদা মামলায় জরুরি কিছু তথ্য তিনি বিকৃত করেছেন, এমন অভিযোগকে সামনে রেখে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছিল সিবিআই। সংস্থার দাবি, তাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ছ’বার নোটিস পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। রাজীবও পরপর পাঁচবার চিঠি দিয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছিলেন, তিনি জিজ্ঞাসাবাদে নয়, আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে সিবিআই নির্ধারিত কোনও জায়গায় নয়, নিরপেক্ষ স্থানে তিনি যেতে প্রস্তুত। সিবিআই তা মানেনি। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি বিশেষ একটি টিম নিয়ে ডিএসপি তথাগত বর্ধন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের সরকারি বাসভবনে ‘সিক্রেট অপারেশন’-এ যান। তা নিয়েই শুরু হয় মোদি-মমতা সংঘাত।
কবে রাজীবের মুখোমুখি হওয়া যায়, তা ঠিক করতে এদিন সকাল থেকেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক সদর দপ্তরে তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কথা বলেন অধিকর্তা ঋষিকুমার শুক্লার সঙ্গে। পাশাপাশি বৈঠক করেন সারদা মামলায় তদন্তকারী অফিসার তথাগত বর্ধন সহ অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্য পদে বসা সংস্থার অধিকর্তা কলকাতার আধিকারিকদের কাছে জানতে চান, ঠিক কোন কোন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাঁরা রাজীব কুমারের মুখোমুখি হতে চাইছেন। সেগুলি অবিলম্বে তাঁর কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। কলকাতা অফিসের তরফে সেই সব তথ্য ও নথি পাঠানো হয় দিল্লিতে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সারদা মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল না থাকার কারণেই বিষয়টি নিয়ে জানতে চান তিনি।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে পাঠানো তথ্য ও নথি নিয়ে দিল্লিতে অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন ঋষিকুমার। এরপর কলকাতাকে ‘গো অ্যাহেড’ সংক্রান্ত সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়। ঠিক হয়, রাজীব কুমারের আর্জি অনুযায়ী ৮ নয়, ৯ ফেব্রুয়ারি শিলংয়ে ডাকা হবে তাঁকে। এরপরই এই সংক্রান্ত নোটিস পাঠানো হয় কলকাতার পুলিস কমিশনারকে। ঘনিষ্ঠ মহলে রাজীব কুমার জানিয়েছেন, সিবিআই নির্ধারিত দিনেই শিলংয়ে তিনি তাদের মুখোমুখি হবেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, কী কী প্রশ্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আসতে পারে, সেই সব বিষয়ে তিনি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। এমনকী তদন্ত রুটের বাইরে গিয়েও যে তাঁকে সিবিআই বিব্রত করার চেষ্টা করতে পারে, সেটাও আগাম ছকে রেখেছেন এই দুঁদে অফিসার। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, একজন পুলিস আধিকারিক হিসেবে রাজীব কুমার যে কতখানি চৌখস, সেটা তাদেরও নজরে আছে। তাঁর পদমর্যাদার জন্য বাড়তি কোনও সুবিধা না দিয়ে আর পাঁচজনের মতোই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এরই পাশাপাশি এই মামলার রাজনৈতিক আবর্তও মাথায় রেখেছেন তদন্তকারীরা। তবে দেখা হবে, রাজীবকুমারের কোনও অসম্মান যেন তদন্তকারীদের ব্যবহার বা আচরণে প্রতিফলিত না হয়।