বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
শ্যাম রাখি, না কূল রাখি। এমনই দোটানায় কংগ্রেস। বাংলায় বস্তুত অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক তৃণমূলের আগ্রাসনে দলে ভাঙন ধরেছে। সর্বভারতীয় রাজনীতির পটভূমিতে গেরুয়া শিবিরের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। অথচ রাজ্যে সেই কংগ্রেস তৃণমূলকেই শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ফলে, বিজেপি বিরোধিতার যে সার্বিক ঐক্যের ডাক কংগ্রেস সভাপতি দিয়েছেন, তা তাঁর দলেরই বাংলা শাখা উপেক্ষা করে চলেছে। তৃণমূলের মতে, কংগ্রেসের এই ভূমিকা পরোক্ষে বিজেপিকেই উৎসাহিত করছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মনে করেন, বিজেপি বিরোধী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই আস্থা রয়েছে রাজ্যবাসীর। সর্বভারতীয় স্তরেও তৃণমূল নেত্রীর এই বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে তা টের পাবে বিজেপি। সেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে প্রধানমন্ত্রীকে। তাই অসত্য ভাষণ আর কুৎসা ছড়িয়ে নেত্রীকে আক্রমণ করতে হচ্ছে মোদিকে। অথচ রাজ্যের কংগ্রেস যা কার্যত সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে, তারা অনেক আগেই বিজেপির বদলে তৃণমূলকে টার্গেট করেছে এরাজ্যে। এটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার প্রতিফলন বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান অবশ্য বিজেপি-তৃণমূলের বিরোধকে মেকি বলে দাবি করেছেন। তারই প্রেক্ষিতে বাংলায় একযোগে মোদি ও মমতা বিরোধী সুর বেঁধে সওয়াল করছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর মতে, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও বিজেপি বিরোধী বিকল্প সম্ভব নয়। যাঁরা সেই চেষ্টা করছেন, বুঝতে হবে তাঁদের সঙ্গে বিজেপির গোপন বোঝাপড়া রয়েছে। তাই ময়নাগুড়ি বা বনগাঁ যেখানেই মোদি মমতার বিরুদ্ধে সরব হন না কেন, তার কোনও মূল্য নেই। কেননা, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রশ্নে কেন্দ্র যেভাবে চলছে, তাতেই তৃণমূলের সঙ্গে তাদের দরকষাকষি টের পাওয়া যাচ্ছে। কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তীর মতে, তৃণমূল বিজেপিকে বাংলায় জায়গা করে দিতে সচেষ্ট। তাই পুলিস-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসকে দুর্বল করতে বেশি আগ্রহী তিনি।