বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পাশাপাশি গোটা বিষয়টাকে বিজেপি’র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা আখ্যা দিয়ে এদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তাঁর কটাক্ষ, এক কান কাটা ব্যক্তি লজ্জায় রাস্তায় বের হন না। কাল যদি প্রধানমন্ত্রী সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করেন, ধরে নিতে হবে তাঁর দু’কানই কাটা। প্রসঙ্গত, সার্কিট বেঞ্চের যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে, এই নিশ্চয়তা দিয়ে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের তৎকালীন আইন-বিচার সচিব বিবেক চৌধুরী আইন মন্ত্রকে চিঠি লিখে উদ্বোধনের জন্য কেন্দ্রের সম্মতির আর্জি জানিয়েছিলেন। চিঠিতে জানানো হয়েছিল, সম্মতি মিললে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করা হবে। মলয়বাবুর অভিযোগ, ওই চিঠি দেওয়ার পর পাঁচ মাস কেটে গেলেও, কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি কেন্দ্রের তরফে। মেলেনি কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সম্মতিও। অথচ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ময়নাগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর দলীয় জনসভাকে সামনে রেখে বুধবার রাতে তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ চালু করার বিষয়টিতে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাজ্যের আইনমন্ত্রীর অভিযোগ, সার্কিট বেঞ্চকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি।
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এদিন নিউটাউনের কনভেনশন সেন্টারে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান চলাকালীনই খবর আসে, যে সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে পরিকাঠামো তৈরি করেছে রাজ্য, ময়নাগুড়িতে বিজেপি’র জনসভায় এসে তার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। খবর পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা। তাঁর নির্দেশে রাজ্যের প্রতিবাদ লিখিত আকারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লিতে। পাশাপাশি সার্কিট বেঞ্চ গঠনে রাজ্যের ভূমিকা ও অবস্থান সবিস্তারে ব্যাখ্যা করতে জরুরি সাংবাদিক সম্মেলন করেন আইনমন্ত্রী।
এদিকে, দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রীর যে সফরসূচি রাজ্যে এসে পৌঁছেছে, সেই অনুযায়ী, ময়নাগুড়ির সভাস্থলে আজ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী আসবেন বিকেল সাড়ে ৩টের সময়। এরপর তিন মিনিট ধরে চলবে তাঁকে স্বাগত জানানোর পর্ব। প্রধানমন্ত্রী জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন এবং ৪১.৭ কিমি দীর্ঘ ৩১ডি-জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজের শিলান্যাস করবেন। ৩টে ৩৩ মিনিট থেকে পরবর্তী পাঁচ মিনিট ওই দুই প্রকল্পের বিষয়ে তাঁকে অবহিত করবেন আধিকারিকরা। এরপর ময়নাগুড়ির সভাস্থলে তৈরি অপর একটি মঞ্চ থেকে বোতাম টিপে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন এবং সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টে ৪০ মিনিটে জনসভার জন্য নির্ধারিত মঞ্চে যাবেন তিনি।
এদিন মহাকরণে নিজের দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের আইনমন্ত্রী বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতা হাইকোর্ট সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনের সম্মতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল আইন মন্ত্রকে। এরপর গত ৩১ আগস্ট আইন মন্ত্রকের তরফে এ এন সাক্সেনা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল শুভাশিস দাশগুপ্তকে চিঠি দিয়ে জানান, পরিকাঠামোগত নানা সমস্যা এবং রাষ্ট্রপতির নোটিফিকেশন না থাকার কারণে এখন উদ্বোধন করা যাবে না। এরপর সেপ্টেম্বরের গোড়ায় রাজ্যের আইন-বিচার সচিব কেন্দ্রকে জানান, ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকাঠামো তৈরি করেছে রাজ্য। বিচারপতিদের বাংলো এবং স্টাফ কোয়ার্টারও তৈরি। লাইব্রেরি এবং সুসংহত নেট পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। উদ্বোধনের অনুমতি দেওয়া হোক। তারপর থেকেই চুপচাপ কেন্দ্র।