গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বর্ধমানের রথতলা এলাকায় ২নম্বর জাতীয় সড়কে ব্রিজের নীচে থেকে দেওয়ানদিঘি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দেহ উদ্ধার করে পুলিস। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের কাশিয়াড়া গ্রামে। তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার দাগ ছিল। কান দিয়ে রক্ত বের হওয়ার চিহ্ন ছিল। গলাতেও কালশিটে দাগ ছিল। অন্য কোনও জায়গায় খুন করে দুষ্কৃতীরা দেহ রথতলা ব্রিজের নীচে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। নিহতের বাবা স্বপনকুমার ঘোষ এনিয়ে বর্ধমান থানায় এফআইআর করেন। কিন্তু, কারা খুন করেছে তা নিয়ে পরিবার ধোঁয়াশায় ছিল। তাই এফআইআরে কারও নাম ছিল না।
নিহত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাবা স্বপনবাবু বলেন, আমরা দুই ভাই। আমাদের পৈত্রিক ভিটে নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে গণ্ডগোল ছিল। ভাই আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছে। কিন্তু, এই বিরোধের জেরে ভাই আমার ছেলেকে খুন করতে পারে, তা কল্পনা করতে পারিনি। আমার বাড়ির কাছেই ভাইয়ের বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে পুলিস ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। ভাইপো আমাকে ফোন করে সেকথা জানাল। আমরা ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছি। ছেলের রোজগারের উপর ভর করেই পরিবার চলত। এখন ছেলের মৃত্যুর পর পরিবারের পথে বসার মতো অবস্থা।
নিহত সিভিক ভলান্টিয়ারের কাকাকে জেরা করে পুলিস জেনেছে, রবীন্দ্রনাথকে খুন করার জন্য দু’লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। দু’জন শার্ফ শ্যুটারকে এজন্য বরাত দিয়েছিল বিপ্লব ঘোষ। ৩ ফেব্রুয়ারি কাঞ্চন উৎসবে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে তাঁর দু’টো মোবাইল সুইচ অফ হয়ে যায়। নিহতের এক পরিচিত এক্ষেত্রে সুপারি কিলারদের সহযোগিতা করেছিল বলে জেনেছে পুলিস।
বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় নিহতের কাকা ও এক সুপারি কিলারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও একজনের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। খুব নিখুঁতভাবে ঘটনার ব্লুপ্লিন্ট তৈরি করা হয়েছিল। তাই খুনের ঘটনার পরও নিহতের কাকা স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে ছিল।