পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
গাজোল থানার সিআই আত্রেয়ী সেন বলেন, আলালে জমি বিবাদে সৎভাইদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। একজন মারা গিয়েছে। ঘটনায় কোনও অভিযোগ এখনও আসেনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবিষয়ে আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের ফারুক হোসেন বলেন, পৈত্রিক জমির ভাগ নিয়ে ওই সৎভাইদের মধ্যে গণ্ডগোল লেগেই আছে। আজকে একজন খুন হয়ে গেলেন। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এবিষয়ে মৃতের স্ত্রী সাবিনা বিবি বলেন, সম্পত্তি হাতাতে ওরা পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে খুন করেছে। আমরা সম্পত্তির ভাগ চাইতে গেলে তারা নানাভাবে বাধা দিচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে আমার শ্বশুরের জমি তারা ভোগদখল করে খাচ্ছে। স্বামীর জমির ভাগ চেয়েছিল। এটা ওরা মেনে নিতে পারেনি বলে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। মৃতের আত্মীয় মাসিদুর রহমান বলেন, পৈত্রিক জমি বিবাদ নিয়ে দুই পক্ষের ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে কে কাকে কুপিয়েছে বলতে পারছি না। বিষয়টি পুলিস খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত প্রথম পক্ষের আজিজুল হকের এক মহিলা আম্মারা বিবি বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গণ্ডগোল করে আসছে। এদিন জমি মাপজোখ হওয়ার কথা ছিল। সকালে প্রথমে আনারুলের লোকেরাই খুন্তি, হাঁসুয়া নিয়ে আমাদের পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ওরা আমাদের চারজনকে মেরেছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আনারুল শেখ পেশায় টোটো চালক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ছাড়াও দুই ছেলে রয়েছে। তার বাবা তফাজুল হকের দুই বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রী বেশ কয়েক বছর আগে চার ছেলেকে রেখে মারা যাযন। পরে তফাজুল আবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় পক্ষেরও চার ছেলে হয়। দ্বিতীয় পক্ষের মেজো ছেলে আনারুল। গত ১৫ বছর আগে তফাজুল মারা গিয়েছেন। তফাজুল ও তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে দ্বিতীয় পক্ষের ছেলেরা তাদের কয়েক বিঘা সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারার দাবি তোলে। এনিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশি সভা হয়। সম্প্রতি সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সাময়িক নিষ্পত্তি হয়েছিল। রবিবার জমি মাপজোখের কথা ছিল। তবে তার আগেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। একপক্ষ অন্য পক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ঘটনাস্থলেই হাঁসুয়ার কোপে আনারুল মারা যান। আনারুল নিজের দাদা মনিরুল ইসলাম গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে কলকাতা রেফার করা হয়েছে। আহত বাকি তিনজন প্রথম পক্ষের ছেলেরা মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন। এঁদের নাম এমদাদুল হক, সাহিদুল হক ও আজিজুল হক। তাঁরা বলেন, জমি নিয়ে আনারুলরাই প্রথমে আক্রমণ করে। পৈত্রিক জমি আমরাই দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করছি। ওদের এই জমির উপর কোনও অধিকারই নেই।