বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এই বিষয়ে পর্যটন দপ্তরের ডিজি ডান্ডু রাজ ঘিমিরে বলেন, সংগৃহীত ৩ হাজার কেজি আবর্জনার মধ্যে ২ হাজার কেজি ওখালদুঙ্গায় পাঠানো হয়েছে। বাকি ১ হাজার কিলো আবর্জনা নেপাল সেনার কপ্টারে করে কাঠমাণ্ডুতে আনা হয়। তিনি আরও বলেন, এই অভিযানে বেসক্যাম্প, সাউথ কোল রিজিয়ন এবং ক্যাম্প ২ ও ৩ থেকে যথাক্রমে ৫, ২ ও ৩ হাজার কেজি আবর্জনা নামিয়ে আনা হবে। সম্পূর্ণ সাফাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নেপালি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ খরচ হবে।
এভারেস্টকে জঞ্জাল মুক্ত রাখতে ২০১৪ সালে আইনও বানিয়েছে নেপাল সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেক পর্বতারোহীকে নিচে নামার সময় ৮ কেজি আবর্জনা সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম কেউই সেভাবে মানছেন না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন ঘিমিরে। তাঁর কথায়, ‘একজন পর্বতারোহী নিজে যতটা আবর্জনা তৈরি করছেন, সেটুকুও যদি তিনি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন, তাহলেও পরিচ্ছন্নতার কাজ অনেকটাই এগবে।’ আবর্জনার মধ্যে খালি অক্সিজেন সিলিন্ডার, রান্নায় সামগ্রী, পানীয়ের ক্যান সহ একাধিক সামগ্রী রয়েছে।
‘গিরীরাজ’-কে আবর্জনামুক্ত করার সময় বেশ কিছু নিহত অভিযাত্রীদের দেহও মিলছে। তাপমাত্রা বাড়ায় বরফ গলতেই দেহগুলির হদিশ মিলছে। সেগুলিকেও নিচে নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে চারটি দেহ বেসক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী ২৯ মে এই অভিযান শেষ হতে চলেছে। ১৯৫৩ সালে এই দিনই এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়েছিলেন। প্রতিবছরই এই দিনটি মহাসমারোহে পালন করা হয় নেপালে। এদিনটিকে এই বিশেষ কর্মসূচির সমাপ্তির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন কাঠমাণ্ডুতে সংগৃহীত আবর্জনার একটি প্রদর্শনীও আয়োজন করতে চলেছেন উদ্যোক্তারা।