বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিন সকালেই সোনালি ও খয়েরি রঙয়ের রাজবেশ এবং কালো টুপি পড়ে প্রাসাদের বিভিন্ন পবিত্র স্থানে গিয়ে পূর্বপুরুষ এবং শিনটো ভগবানের কাছে নিজের সিংহাসন ত্যাগের ইচ্ছা জানিয়ে আসেন আকিহিতো। পরে টোকিওর রাজপ্রাসাদের ‘রুম অফ পাইন’-এ প্রাচীন ও ঐতিহ্যশালী তলোয়ার এবং পবিত্র রত্নকে সামনে রেখে ৮৫ বছরের সম্রাটের সিংহাসন ত্যাগের প্রথা সম্পন্ন হয়। নিজের শেষ ভাষণে বিশ্বশান্তির বার্তা দিয়েছেন তিনি। প্রায় একনাগাড়ে চলা বৃষ্টির মধ্যেও এদিন রাজপ্রাসাদের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। ঐতিহাসিক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, রাজ পরিবারের সদস্যরা সহ প্রায় তিনশো জন। সম্রাটের এই সিদ্ধান্তে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন জাপানের নাগরিকরা। অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলেও এদিন মধ্যরাতে ছেলের অভিষেক না হওয়া পর্যন্ত কার্যত সম্রাট থাকবেন আকিহিতোই।
বুধবার ১০ মিনিটের একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যাভিষেক হবে ৫৯ বছরের নারুহিতোর। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না রাজ পরিবারের কোনও মহিলাই। এমনকী, তাঁর স্ত্রী মাসাকোও থাকতে পারবেন না সেখানে। সিংহাসনে সিংহাসনে বসার পর প্রথমবার সম্রাট হিসেবে ভাষণ দেবেন নারুহিতো। আগামী ২২ অক্টোবর তাঁর সিংহাসনে বসা উপলক্ষে প্রকাশ্য অনুষ্ঠান করা হবে। ইতিমধ্যেই নতুন সম্রাটকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মে মাসেই জাপান সফরে এসে সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের সময় বিদায়ী সম্রাট আকিহিতোর বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজপরিবারকে আরও আধুনিক এবং মানুষের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।