পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে রাজ্যের ৪০ শতাংশ অংশীদারিত্ব প্রত্যাহার করার কথা বৃহস্পতিবারই কৃষ্ণনগরের সভা থেকে ঘোষণা করেছিলেন ক্ষুব্ধ মমতা। এদিনের সভায় সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, কাজ বলতে কি শুধু রাফাল চুক্তি করা! নিজের যা কাজ সেটাই তো করেননি। অথচ বাড়ি বাড়ি চিঠি দিয়ে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিমা, আবাস তৈরি, নারী শিক্ষা সবই নাকি তাঁরা করেছেন। তাহলে আমরা করলামটা কী! দৃশ্যত বিস্মিত মমতার পাল্টা প্রশ্ন, এই সাড়ে সাত বছরে রাজ্যে এত কাজ, এত উন্নয়ন, তাহলে করল কে? ক্ষুব্ধ মমতা বলে চলেন, নরেন্দ্র মোদি নাকি ফসল বিমার প্রিমিয়াম দিয়েছেন। কোথা থেকে দিয়েছ? প্রিমিয়াম বাবদ তো আমরা ৬২৫ কোটি টাকা দিয়েছি। চিকিৎসা রাজ্যের খরচ, স্বাস্থ্যসাথী তো আগেই করেছি। গ্রামোন্নয়নেও খরচ করে চলেছে রাজ্য। এখন ভোটের মুখে সব কেন্দ্র করেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে।
বারাসতের কাছারি ময়দানের উপচে পড়া উপস্থিতিকে মমতার নিদান—নরেন্দ্র মোদির চিঠি যে বা যাঁরা পেয়েছেন, জানবেন, দু’মাস বাদে ভোট, গদি যাবে। ওই চিঠির কোনও গুরুত্ব নেই। এরপরই দর্শক-শ্রোতাদের ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হবু প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মনে নেই সেই ১৫ লক্ষ টাকার কথা। পেয়েছেন কেউ টাকা? পেয়েছেন কেউ? সমস্বরে জনতার জবাব, না, না। মমতা বলেন, এবার দেখবেন, হঠাৎ করে অ্যাকাউন্টে ১৫ হাজার টাকা ঢুকে যাবে। আপনি ভাবলেন, বাহ, এই তো শুরু হয়েছে। ওরা হেরে গেলে ব্যাঙ্ক কিন্তু আপনাকে ছাড়বে না। সুদ মেটাতে নাজেহাল হয়ে যাবেন।
আয়কর বিভাগ শহরের দুর্গাপুজো আয়োজনের খরচ পিছু টিডিএস কেটে তা জমা করা হয়েছে কি না, তা জানতে উদ্যোক্তাদের ডেকে পাঠাতে শুরু করেছে। এদিনের সভামঞ্চে এই বিষয়টি নিয়ে গলার স্বর সপ্তমে চড়িয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, পুজো কমিটিগুলির কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে, হিসেব দাও। তার আগে নোটবন্দিতে কত টাকা লুট হয়েছে, তার হিসেব দাও দেখি। পুজোর আয়োজন কি লাভ করার জন্য! সে তো মানুষকে আনন্দ দিতে আয়োজন। আয়কর দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। দুর্গাপুজো একটা ধর্মীয় প্রথা, রীতি। বিরক্তির সুর ছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়—তুমি টাকা দাও, নাকি তোমার সরকার টাকা দেয়। পুজোর চাঁদা দেয় জনগণ। পুজো বন্ধ করতে চাইছ নাকি! ক্লাবগুলিকে তাঁর পরামর্শ, জোট বাঁধুন, ডাকলেও যাবেন না। মমতার হুঁশিয়ারি, একটা ক্লাবের গায়ে যদি হাত পড়ে, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।