নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভারতীয় ফুটবলে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে শেষ পর্যন্ত বিজেপির দ্বারস্থ হল মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গল। আই লিগকেই দেশের সেরা লিগ হিসাবে স্বীকৃতি দিতে এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিল আই লিগ ক্লাবগুলির জোট। সেই খবর দেখার পর পশ্চিমঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে আলোচনার জন্য দুই বড় ক্লাবকে প্রস্তাব দেন প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে। উল্লেখ্য, কল্যাণ গত আড়াই বছর ধরে সক্রিয় বিজেপি নেতা। আরএসএসের ঘনিষ্ট কল্যাণ সম্প্রতি কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনেও। তাঁর উদ্যোগেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় শুক্রবার সাড়ে বারটা নাগাদ দুই প্রধানের চার শীর্ষ কর্তার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তবে, ক্রীড়ামন্ত্রী তখন সংসদে ব্যস্ত থাকায় বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। মোহন বাগানের তরফে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ও সহ সচিব। ইস্ট বেঙ্গলের সহ সচিবের সঙ্গে ছিলেন মুখ্য কর্তাও। সেখানে প্রথম আধ ঘণ্টা আই লিগ ও আইএসএলের জটিলতার ব্যাপারটি বিজেপি নেতাকে বোঝানো হয়। সব শুনে তিনি মন্তব্য করেন আপনার দেশের অতি পুরানো ক্লাব। আপনাদের চাহিদা তো খুব সামান্য। ঩দেশের সেরা লিগেই তো আপনাদের খেলা উচিত। এরপরেই বিজেপি নেতা ফোন করেন নতুন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজেজুকে। তাঁকে তিনি অনুরোধ করেন দুই প্রধানসহ আই লিগ ক্লাবগুলির স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই জন্য ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলতে। প্রয়োজনে আইএফএফের মাকেটিং পার্টনারের সঙ্গেও আলোচনা করতে। মোহন বাগান অর্থ সচিব তাঁকে বুঝিয়ে বলেন,‘আমাদের দুটি ক্লাবের বয়স ১৩০ ও ১০০ বছর। আমাদের বিনা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি’তে যেন আইএসএল খেলতে দেওয়া হয়। নয়তো বর্তমান নিয়মই (আই লিগের চ্যাম্পিয়ন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাছাই পবে খেলবে) চালু থাকে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় পুরো ব্যাপারটি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার আশ্বাস দেন। এর আগে তিন প্রধানের অনুরোধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আবেদন করেছিলেন প্রফুল্ল প্যাটেলকে। তবে কিছুই হয়নি। আগে স্পনসর সমস্যা নিরসনে রাজ্য বিজেপি চিঠি দিয়েছিল দুই প্রধানকে। তখন দুই প্রধান গেরুয়া শিবিরকে এড়িয়ে গিয়েছিল। এবার সেই শিবিরের শরণাপন্ন দুই প্রধান। শুক্রবারের পুরো ঘটনাপ্রবহ নিয়ে ওয়াকিবহাল ফুটবল হাউস। কিন্তু তারা খুব চিন্তায় নেই।