কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এব্যাপারে বিজেপি’র কোচবিহার জেলা কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, আমাদের দলে কাদের নেওয়া যাবে, কাদের নেওয়া যাবে না তা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করা হবে। দু’একটি ক্ষেত্রে সামান্য মতানৈক্য রয়েছে। আমরা আলোচনা করে তা মিটিয়ে নেব। বিজেপি’র কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দলবদল নিয়ে মতানৈক্য হচ্ছে। কেউ স্থানীয় স্তরে কর্মীদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছেন। আমাদের কয়েকজন মণ্ডল সভাপতিও এধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে। আমাদের দলে এভাবে অন্তর্ভুক্তকরণ হয় না। কর্মীদের মতামত নিয়েই কোন কোন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বা জনপ্রতিনিধিকে দলে নেওয়া যাবে সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দিনহাটা, মাথাভাঙা সহ জেলার অন্যান্য মহকুমাগুলিতেও ভোট পরবর্তী সময়ে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। দলে যোগদান করতে আগ্রহী সবচেয়ে বেশি রয়েছে দিনহাটা ও মাথাভাঙা মহকুমায়। কারণ এই দুই মহকুমার পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নব্য তৃণমূলী। তারা বিগত বাম আমলেও মূল স্রোতে থেকে দু’হাত ভরে কামিয়েছেন। বাম জমানার অবসানে এরাই ভিড়ে যান তৃণমূলে। এখন পালের হাওয়া বুঝে বিজেপি’র দিকে ঝুঁকে পড়েছেন এরা। আর এনিয়েই ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে।
বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, দিনের পর দিন বাম নেতাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, তৃণমূলের সন্ত্রাস উপেক্ষা করে আমরা ময়দানে থেকে লড়াই করেছি। দলের জেলা নেতারা সুদিন আসতেই সেসব ভুলে দল ভাঙিয়ে সেই বাম ও তৃণমূলের নেতাদের দলে নিতে চাইছেন। এই জনপ্রতিনিধিরা দলে এলে আদতে যে দলের ক্ষতি হবে তা প্রকাশ্যে বলছেন তারা। দু’দিন আগেই নিচুতলার কর্মীদের এই চাপা ক্ষোভ বুঝতে পেরেই শীতলকুচির একটি দলবদল অনুষ্ঠান বাতিল করে দিতে বাধ্য হয় দলের জেলা নেতৃত্ব। বিজেপি কর্মীদের আরও দাবি, গ্রামের সাধারণ গরিব মানুষ বঞ্চনার স্বীকার হয়ে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতাদের জবাব হিসাবে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। এবারে সেই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপিতে যোগদান করলে ফের সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হবে। তৃণমূলের মতো দলে গোষ্ঠীকোন্দলও ব্যাপক আকার নিতে পারে। দলের পরিধি বাড়ানোর প্রয়োজন হলে সাধারণ মানুষকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। না হলে তৃণমূলের দশা হবে বিজেপি’র। এব্যাপারে সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, বিজেপি সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে দলবদল করতে চাইছে। মানুষই বিজেপি’র এই অনৈতিক কাজের জবাব দেবে।