কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
নগেনবাবু বলেন, সরকারি কিছু অনুষ্ঠানে আমি আমন্ত্রণ পাই। কিছু অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হয় না। উন্নয়নমূলক কাজও এলাকায় করার চেষ্টা করি। কিন্তু সেটা প্রচারের আলোয় আসে না। তবে বিজেপি এবার এলাকায় মিটিং মিছিলও বিশেষ করেনি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে প্রচুর ভোট পেয়েছে। তাঁর বিজেপিতে যোগদান সংক্রান্ত জল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নানা ধরনের প্রস্তাব আগেও পেয়েছি। তবে আমি যেখানে আছি সেখানেই থাকব। বিজেপি’র জেলা সম্পাদক তথা কোচবিহার উত্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুকুমার রায় বলেন, এলাকায় বাম বলে আর বিশেষ কিছু নেই। তারা সবাই বিজেপি হয়ে গিয়েছে। তবে নেতাদের আর মানুষ মানতে পারছেন না।
নগেনবাবু কোচবিহার জেলার বিরোধী দলের একমাত্র বিধায়ক। এলাকায় নির্বিরোধী, সাদাসিধে ভালো মানুষ বলেই তাঁর পরিচিতি রয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি কোনওদিনই এলাকায় তাঁকে দাপিয়ে বেড়াতে কেউ দেখেননি। দলের একজন প্রাক্তন বিধায়কের ছত্রছায়াতে থাকতেই তিনি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। নামে বিধায়ক হলেও তিনি এলাকায় ও নিজের পার্টির অন্দরেই কার্যত অস্তিত্বহীন। তবে এসবের মধ্যেও তৃণমূলের রমরমার সময়েও তিনি বাম প্রার্থী হিসাবে জয় হাসিল করেছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে এটা একটা বড় সাফল্য। কিন্তু দু’টি টার্মের বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল এতদিন তাঁকে কার্যত গুরুত্বহীন করে রেখেছিল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তিনি ডাক পেতেন না। এদিকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকায় বিজেপি তাদের সংগঠনকে মজবুত করা শুরু করে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের দিনই বিজেপির শক্তি বৃদ্ধির নজির ভোটকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকাতেই দেখা গিয়েছিল। সেদিন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক কোচবিহার উত্তরের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। তাঁর গাড়ি এলাকায় ঢুকতেই জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে বাসিন্দারা মুখরিত হন। বাসিন্দাদের মতে একটা সময় কোচবিহার উত্তর বামেদের গড় ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বামেরা কার্যত সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। সেখানে মাথা তুলেছে বিজেপি। এমনকী এবারের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার উত্তরে বাম ও রামের মধ্যে ব্যাপক সখ্যতা তৈরি হয়েছিল। বাম কর্মীদের একটা বড় অংশ বিজেপির প্রার্থীকে জেতানোর জন্য তৎপর হয়েছিলেন। যার সুফল পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
এবার লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার উত্তর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী ৯১ হাজার ৩৮০টি ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপি পেয়েছিল ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬০৬টি ভোট। এদিকে বাম প্রার্থী ৯৯১০টি ভোট পেয়েছেন। এই ফলাফলের জেরে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বাম কর্মী সমর্থকদের একটা বড় অংশ ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সরাসরি ইভিএমের পদ্মফুলের বোতাম টিপেছিলেন। তবে নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা করে দিলেও ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে নগেনবাবুর বিশেষ সুবিধা হয়নি। তবে তৃণমূলের সেই দাপট কিছুটা কমে যাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন এলাকায় বাম কর্মীরা। এদিকে এলাকায় বিজেপির দাপট বাড়তেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের একজন জেলা নেতা সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন বলেও গুঞ্জন হচ্ছে।