কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, শনিবার পুলিস সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাস্তায় নামিয়ে আমাদের কর্মীদের নির্মমভাবে লাঠিপেটা করেছে। ইতিমধ্যেই আমরা ওসব ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দলীয়ভাবে আলোচনাও করা হয়েছে। একে তো শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা। তার উপর সিভিকদের দিয়ে মারধর। এসব কোনওভাবেই আমরা মেনে নিতে পারছি না। ওই দিন গঙ্গারামপুর শহরে পুলিস অফিসারদের নেতৃত্বে সিভিকরা দাপিয়ে বেরিয়েছে। সাধারণ মানুষকে দোকান, বাড়ি থেকে বের করে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। সমস্ত ভিডিও ফুটেজ একে একে হাতে আসছে। সিভিকদের এই অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে আমরা আইনের পথে হাঁটতে চলেছি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিক ভলান্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় পোড়িয়া বলেন, শনিবার গঙ্গারামপুরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে একটি রাজনৈতিক কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করানো হয়েছে। সিভিকরা লাঠিচার্জ করতে পারে না। কারণ তাঁদের এব্যপারে প্রশিক্ষণ নেই। সিভিকদের দিয়ে পুলিস আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজ করাচ্ছে। এসব সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। আমাদের নিয়োগের সময়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল তাতে পরিষ্কার লেখা ছিল ভিড় সামাল দিতে হবে। কিন্তু এখন পুলিসের সব কাজই করানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানাই।
গঙ্গারামপুরের এসডিপিও বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই দিনের ঘটনার বিষয় আমি কিছু বলতে পারব না। যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তারা বলবেন। এদিন জেলার পুলিস সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শনিবারের ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হওয়ার পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, জেলা পুলিস প্রশাসন সিভিকদের হাতে লাঠি তুলে দিয়ে কর্মীদের মেরে রক্তাক্ত করিয়েছে। ওদের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকিয়ে তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করেছে। ওই দিন ঘটনার সময় থেকে গঙ্গারামপুর চৌপথিতে সিভিকরা লাঠি হাতে নিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। এছাড়াও একাংশ সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে ইটপাটকেলও দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই দিনের ভিডিও ফুটেজ এবং স্টিল ছবি ঘুরছে। ওসবই বিজেপি নেতারা সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগেও তাঁরা ওই দিনের কিছু ছবি পেয়েছেন। কিছু ভিডিওতে মহিলা সিভিকদের রাস্তায় অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। শনিবারের ওই ঘটনায় জেলা বিজেপি নেতারা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। তাঁরা ওসব ভিডিও ও স্টিল ছবি নিয়ে আইনি পথে হাঁটাতে যাচ্ছেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাজ্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই দিনের ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। সংগঠনের কর্মকতাদের অভিযোগ, পুলিস প্রশাসন রাজ্যজুড়েই সিভিকদের নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজে লাগাচ্ছে। থানার অফিসাররা তাঁদের দিয়ে সব কাজ করাচ্ছেন। সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও বাহিনীর মর্যাদা পায়নি। জনরোষ মোকাবিলার কোনও প্রশিক্ষণও তাঁদের দেওয়া হয়নি। সিভিকরা লাঠি ব্যবহার করতে পারে না। অভিযোগ, এরপরেও পুলিসের চাপেই তাঁদের ওসব কাজ করতে হচ্ছে।