উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
পাঁচ বছর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাস টার্মিনাসটির উদ্বোধন করেছিলেন। তারপর দু’তিন দিন টার্মিনাসে বাস ঢুকলেও পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চ্যাংরাবান্ধা থেকে প্রতিদিন জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, মাথাভাঙা রুটে প্রচুর বেসরকারি ও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস যাতায়াত করে। চ্যাংরাবান্ধা বাজারে বাসস্ট্যান্ডে বাসগুলি দাঁড়ায়। সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে বাসগুলি যাতায়াত করে। বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরের টার্মিনাসে কোনও বাসই ঢোকে না। ফলে বর্তমানে প্রায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই বাস টার্মিনাস। বাস মালিকদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষ টার্মিনাসে যান না, ফলে সেখানে বাস ঢোকানোর কোনও প্রয়োজন পড়ে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে বাস টার্মিনাস তৈরি করার কারণে টার্মিনাসে না গিয়ে স্ট্যান্ড থেকে বাস ধরে গন্তব্যে রওনা দেওয়া সহজ হয়। অপরিকল্পিতভাবে বাস টার্মিনাসটি তৈরি করার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। টার্মিনাসে বাস না ঢোকার কারণে অপরিসর রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোয় বাজার এলাকায় যানজট তৈরি হয়। টার্মিনাসটি সঠিক জায়গায় করলে বাজারের যানজটও অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হতো। চ্যাংরাবান্ধা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়াম্যান পরেশ চন্দ্র অধিকারী এনিয়ে বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। কিন্তু অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। আগের মতোই বাজারের বাসস্ট্যান্ড থেকেই যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে বাসগুলি।
এব্যাপারে মেখলিগঞ্জ-ময়নাগুড়ি বেসরকারি বাস মালিক সমিতির কর্মকর্তা উত্তম চক্রবর্তী বলেন, আমরা টার্মিনাসে বাস ঢোকাতে চাই। কিন্ত বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরের বাস টার্মিনাসে সাধারণ মানুষ কেউ যায় না। একই সঙ্গে সমস্ত রুটে প্রচুর ছোট গাড়ি যাতায়াত করে। টার্মিনাসে ঢুকে সময় নষ্ট করে যাত্রী না পেলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় কেউ বাস ঢোকাচ্ছে না। আমরা এব্যাপারে আমাদের অসুবিধার কথা জানিয়েছি। চ্যাংরাবান্ধা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়াম্যান পরেশ চন্দ্র অধিকারী বলেন, চ্যাংরাবান্ধা বাস টার্মিনাস তৈরির পর থেকে বাস ঢোকাচ্ছে না বাস মালিকরা। আমি নিজে টার্মিনাস পরিদর্শন করেছি। সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে। বাস মালিকদের সঙ্গে এনিয়ে কথাও বলেছি। ফের তাঁদের এবিষয়ে জানানো হবে। বাজার থেকে দূরে বাস টার্মিনাসটি তৈরির কারণে মালিকরা বাস ঢোকাতে চাইছেন না। কী করে টার্মিনাসটি চালু করা যায় তা নিয়ে বাস মালিকদের মতামত নেওয়া হবে।