বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বামফ্রন্টের পুর-পরিষদীয় দলনেত্রী প্রশ্নোত্তর পর্বে বলেন, ভেক্টর কন্ট্রোলের মতো স্বাস্থ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কাজে শতাধিক অস্থায়ী (ক্যাজুয়াল) কর্মী রয়েছেন। তাঁদের একাংশকে কুকুর ধরার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজও করতে হয়। অথচ, মাত্র ৫৭০০ টাকা ভাতা ছাড়া তাঁদের আর কোনও সুরক্ষা নেই। সুরেশ সাউ নামে এরকম একজন অস্থায়ী কর্মী কুকুরের কামড় খাওয়ার পর ঠিকঠাক চিকিৎসা না করাতে পেরে মারাও গিয়েছেন বলে দাবি করেন রত্নাদেবী। পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক যে ক্যাটিগরির কর্মচারী হোন না কেন, পুরসভায় কাজ করলে পিএফ এবং ইএসআই-এর সুবিধা তাঁকে দিতেই হবে। বিষয়টি তিনি মহানাগরিকের নজরে আনেন। মহানাগরিক জবাব দিতে উঠে স্বীকার করে নেন, এই কর্মীরা বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছেন। শ্রম আইনের অধিকারগুলি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের পিএফ এবং ইএসআইয়ের ব্যবস্থা করবে পুরসভা। পাশাপাশি ভাতা বাড়ানোর ব্যাপারেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। তাঁর এই আশ্বাস শুনে টেবিল চাপড়ে অভিনন্দন জানান ডান-বাম সমস্ত কাউন্সিলারই।
রত্নাদেবী আরেকটি প্রস্তাবে এদিন বলেন, ২০১৭ সালের মে থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ৪২ জন অস্থায়ী কর্মীকে একটি ঠিকাসংস্থার মাধ্যমে অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের কাজে নেওয়া হয়েছিল। সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট ফর্ম পূরণ করার জন্য তাঁদের কাজে লাগানো হয়েছিল। এই বছরের শুরুতে সেই ৪২ জনকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি নির্দেশিকা জারি করে প্রায় ৫০ জন অবসরপ্রাপ্ত পুর-কর্মচারীকে পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে কাজে। এই কাজকে ‘অমানবিক’ বলে অভিযোগ করে তিনি ওই কর্মীদের কাজে ফেরানোর প্রস্তাব দেন। এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ওই কর্মীরা প্রতি ফর্ম পিছু একটি নির্দিষ্ট টাকা পেতেন। ঠিকাসংস্থার সঙ্গে সেইরকমই চুক্তি হয়েছিল। এখন আর সেই কাজের প্রয়োজন পড়ছে না। তাঁর পাল্টা যুক্তি, এভাবে বেকারের কর্মসংস্থানের কথা ভাবতে গেলে তো শহরের মানুষের করের টাকায় তাদের যে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেই উদ্যোগই মার খাবে। এর সঙ্গে ৫০ জন অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই। অনেক সময় কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার দরকার হয়ে পড়ে। সেই জন্য আমরা কখনও কখনও কিছু সময়ের জন্য অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করি। তবে তাঁর আশ্বাস, অন্য কোনও বিভাগে ওই কর্মীদের কাজ করানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেই ব্যাপারে তিনি বিবেচনা করবেন।