বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
মন্ত্রী এদিন বলেন, বেআইনি দোকানঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত থেকে আমি একচুলও সরব না। বিধান মার্কেটের কিছু ব্যবসায়ী গুন্ডামি করছে। ওদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু বিধান মার্কেটই নয়, শহরে যেভাবে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে তা আর বরদাস্ত করা হবে না। ওসবের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আমি নবান্নে পাঠব।
বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি সাহা বলেন, মন্ত্রী না জেনে আমাদের বিরুদ্ধে বদনাম রটাচ্ছেন। এসব আমরা মানব না। প্রকৃত বিষয়টি আমরাও সকলকে বলব। এদিন পুড়ে যাওয়া দোকানদারদের সামনে আনেন তিনি। পুড়ে যাওয়া জুতোর দোকানের মালিক শুভেন্দু সিংহ বলেন, বহু বছর ধরে আমি মার্কেটে দোকান করছি। আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে দোকান করার বিষয়টি চূড়ান্ত করি। নিজেদের দোকানের জমিতেই ঘর তোলা হচ্ছে। উল্টো রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জায়গা ছেড়েছি। মন্ত্রী বলছেন, আমরা অবৈধ নির্মাণ করছি। এটা মানা যায় না। আরেক ব্যবসায়ী শন্তু দত্ত বলেন, প্রতিটি দোকানের বৈধ নথি রয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স, ইলেকট্রিক বিল সবই আছে। এভাবে আমাদের মন্ত্রী অপমান করতে পারেন না।
এসজেডিএ’র চিফ এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এস পুনমবালা বলেন, অবৈধ অংশ ভাঙার জন্য শীঘ্রই নোটিস করা হবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে এসজেডিএ’র আধিকারিকদের নিয়ে মন্ত্রী বিধান মার্কেট পরিদর্শন করেন। সম্প্রতি আগুনে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের দোকানঘরের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়েই মন্ত্রীর নজরে আসে সেখানে ২০টি দোকান নির্মাণ শুরু হয়েছে। তাও আবার নিয়ম ভেঙে দোতলা করা হচ্ছে। এরপরেই তিনি চটে যান। দ্রুত সেসব নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন এসজেডিএ’র ইঞ্জিনিয়ারদের। তিনি মার্কেটে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, কিছু অসাধু লোকের জন্য শহরে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। তারা এভাবে নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। আর জনপ্রতিনিধিদের গালমন্দ শুনতে হচ্ছে। এসব বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর অভিযোগের তির ছিল মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের একাংশ সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে মন্ত্রী চলে যাওয়ার কিছু সময় পর একাংশ ব্যবসায়ী মার্কেট কমিটির ব্যানার হাতে নিয়ে মার্কেট চত্বরে মিছিল করেন। তাঁরা প্রতিবাদস্বরূপ দোকানপাটও কিছুক্ষণ বন্ধ রাখেন। পরে বিধান রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা মার্কেটে ব্যবসা করলেও এসজেডিএ মার্কেট কমপ্লেক্স করছে না। গোটা মার্কেট জতুগৃহ হয়ে আছে। তাঁরা পাট্টার দাবি করেন। পাট্টা মিললে তাঁরা নিজেদের মতো করে দোকান করবেন বলেও জানান। পাশাপাশি মন্ত্রী না জেনেই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে অবরোধ স্থলে দাঁড়িয়ে আওয়াজ তোলেন।