পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
সম্মেলন মঞ্চে অশোকবাবু বলেন, শিক্ষকদের পদোন্নতির কোনও জায়গা নেই। তাঁরা হেড টিচার নইলে অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার হতে পারেন। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তাঁদের জন্য সিনিয়র টিচারের পদ তৈরি করা হোক। এতে তাঁদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। তাঁরা মানসিক দিক দিয়ে সন্তুষ্ট হবেন। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের এই দাবি পূরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই হতে পারে। আমরা এটা নিয়ে তাঁদের কাছে যাব। আশা করি, আমাদের এই দাবি খুব দ্রুত তাঁরা পূরণ করবেন। অশোকবাবু তাঁর ভাষণে আরও বলেন, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলায় আমাদের সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী জায়গায় রয়েছে। এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা তার পাশে এল। এখানে আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বাইরে কেউ কিছু করলে তাঁর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। বামেরা ৩৪ বছরে শিক্ষকদের জন্য কিছুই করেনি। তাদের সময়ে অবসরের পরেও শিক্ষকদের পেনশন পেতে হলে এসআই অফিস, ডিআই অফিস, মহাকরণে দৌড়ঝাঁপ করতে হতো। কিন্তু তার পরেও পেনশন মেলা অনিশ্চিত ছিল। আসলে আগে ওসব জায়গায় একটি চক্র কাজ করত। তৃণমূল সরকারে আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় শিক্ষকদের মাস পয়লা বেতন চালু করেছে, অবসরের আগেই পেনশনের কাগজপত্র চলে আসছে। প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের বিনামূল্যে ডিএলএড কোর্সের ব্যবস্থা করেছে। গত কয়েক বছরে রাজ্যে ৭৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। ৬০ হাজার শিক্ষকের বদলির ব্যবস্থা এই সরকার করেছে। ১০০টি প্রাথমিক স্কুল ইংরেজি মাধ্যমে উন্নীত হয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের জন্য সরকার প্রতিমুহূর্তে ভাবছে। তাই আমাদের ভালো করে কাজ করতে হবে। স্কুলে যাতে পড়ুয়ার সংখ্যা না কমে সেটা শিক্ষকদের দায়িত্ব নিয়ে দেখতে হবে। এই মুখ্যমন্ত্রী থাকলেই আমাদের অস্তিত্ব থাকবে নইলে সাতবছর আগে শিক্ষকদের যা অবস্থা ছিল সেটাই হবে। সংগঠনের কর্মীদের ভালো কাজের জন্য পুরষ্কৃত করা হবে। কাজ না করে পদ আঁকড়ে থাকলে সরিয়ে দেওয়া হবে।
ওই সম্মেলনে শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি অশোকবাবু কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। ব্রিগেড সমাবেশে সকলকে যাওয়ার জন্য আবেদন জানান। উত্তর দিনাজপুরের বহু প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই ফলে স্কুল পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের প্যানেল তৈরির কাজ চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তা প্রকাশ পাবে।
সংগঠনের জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, কয়েক মাস আগে আমি সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছি। জেলার বিভিন্ন সার্কেলে সংগঠনের কমিটি বানানো হয়েছে। ব্রিগেড সমাবেশে উত্তর দিনাজপুর থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক নিয়ে যাওয়া হবে। তার প্রস্তুতি আমরা শুরু করেছি।