বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী থেকে যাদবপুরের মতো হেভিওয়েট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। কাজেই মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত যে ফোন নম্বরটা প্রাইভেট ছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় সেটা জনগণের। আর হবে নাই বা কেন? কোনও দ্বিধা না রেখে বললেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে নেমেছি। ৫০০ শতাংশ না দিলে হবে না। আর সেটাই দেব। আজ মানুষ আমাকে চেনে। রাজনীতির মঞ্চে নেমে মানুষের জন্য কাজ করার এটাই সঠিক সময়। মানুষের জন্য যদি কাজ করতে হয়, তাহলে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করব কেন? হঁাটু ব্যথায় দঁাড়াতে পারব না, রোদের মধ্যে দঁাড়িয়ে প্রচার করতে গেলে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগবে। আর আজ আমাকে বলুন... স্নিকার্স পরে রেডি আছি। ছুট্টে চলে যাব।’ পেশার উপর প্রভাব পড়বে না? দক্ষ রাজনীতিকের মতো ব্যালান্স করলেন না। বরং স্বভাবসিদ্ধ সরলসোজা ভঙ্গিতেই জবাব, ‘কেন? কত ফিল্ডের লোকজনই তো রাজনীতিতে রয়েছেন... অভিনেতা, সুরকার, গায়ক... দেব তো আমাদের সবার ইনস্পিরেশন। ও পারলে আমরাও পারব।’
এখানে আমরা মানে অবশ্যই মিমি এবং নুসরত জাহান। এই দু’টো নামই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করা প্রার্থী তালিকার বড় চমক। তারপর থেকেই অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া এই দুই অভিনেত্রীকে নিয়ে নানা ধরনের কটু রসিকতায় ভরে গিয়েছে। সেটা শুনেই মিমির প্রতিক্রিয়া, ‘দেখি না কয়েকটা! শুনেছি। কিন্তু দেখা হয়নি।’ আবার পাশাপাশি এটাও শুনিয়ে রাখলেন, ‘অভিনয়টা আমাদের রুজিরুটি। এই কাজের জন্যই মানুষ আমাদের চেনে। তাই এসব নিয়ে যে বা যারা খারাপ রসিকতা করছে, তাদের এক কথায় বোকা ছাড়া আর কিছু বলতে পারি না। আমাদের মুখটা বাড়ি বাড়ি চেনা বলে ফোকাসটা বেশি থাকে। এর থেকে বেশি কিছু না। আর রাজনীতিক হিসেবে কতটা সফল হব, সেটা তো মানুষ বলবে। ঠিক যেভাবে আমার অভিনয়কে জনগণ ভালোবেসেছেন, সেই একইভাবে যাদবপুরের মানুষের আশীর্বাদের হাত মাথার উপর থাকে, তাহলে আমিই জিতব। স্বীকার করছি, রাজনীতির আঙিনায় আমি এক্কেবারে নতুন। সবকিছু ঠিকঠাক জানি না। এখন শিখছি। দিদি সাহায্য করার জন্য অনেকেকে সঙ্গে দিয়েছেন। অরূপদা, শুভাশিসদা আছে। খুব হেল্প করছে। এবার শুধু মাঠে নামার অপেক্ষা। নুসরত তো সব ডায়েরিতে লিখে রাখছে। জিজ্ঞেস করলে বলে, চিন্তা করিস না, সব বুঝিয়ে দেব।’
তবে এই মুহূর্তে শ্রীকান্ত মোহতার অভাব অনুভব করছেন, সেটা একবাক্যে স্বীকার করলেন। বললেন, ‘শ্রীকান্তদা মেন্টরের মতো। যখন যা দরকার হতো... কোনও পরামর্শ নেওয়ার থাকলে সরাসরি জিজ্ঞেস করতাম। সেটা খুব মিস করি।’
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হল। এই একটাই উত্তর কিন্তু মিমি দিলেন না। শুধু বললেন, ‘সিক্রেট।’