বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সাক্ষাতের পর বেরিয়ে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘যখনই নির্বাচন ঘোষণা হয়, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সন্ত্রাস মাত্রাছাড়া হয়ে ওঠে। রাজ্যের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেই এই চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। শুধুমাত্র আগের পঞ্চায়েত ভোটেই বিরোধী পক্ষের ১০০ জন খুন হয়েছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে। পশ্চিমবঙ্গের মতো এরকম সন্ত্রাসের আবহ অন্য কোনও রাজ্যে তৈরি হয় না। বাংলায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গকে অতি স্পর্শকাতর রাজ্য হিসেবে গণ্য করার দাবি জানানো হয়েছে।’
এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘রাজ্য প্রশাসনের অনেক আধিকারিকই নিরপেক্ষ নন। তাঁরা কার্যত শাসক দলের ক্যাডার হিসেবেই কাজ করেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ধর্নামঞ্চে শামিল হয়েছিলেন। সেখানে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের পাঁচ আধিকারিক হাজির হয়েছিলেন। এরকম নাম আরও অনেক আছে। এঁদের নামের একটি তালিকা আমরা জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। এইসব অফিসারকে রাজ্যের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।’ বিজেপির অভিযোগ করে বলেছে, অতীতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের প্রকাশ্য সমাবেশ নিয়ে রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট টালবাহানা করেছিল। সভাপতির হেলিকপ্টার নামারও অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘বাংলার পুলিশের উপর ভরসা করে ভোট করানো যাবে না। রাজ্য পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার কারও উপরেই কোনও ভরসা নেই। রাজ্যের প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচন যত এগবে, ততই এভাবে একের পর এক ইস্যু তুলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে বিজেপি। যাতে ভোটের মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে স্নায়ুযুদ্ধে প্রবল চাপে ফেলে দেওয়া যায়।