বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
ডিআরআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশের তিনটি জেলায় রক্তচন্দন গাছের চাষ হয়। সেখান থেকেই চোরাপথে ওই চন্দন কাঠ কলকাতায় নিয়ে এসে, বিদেশে পাচার করা হয়। কিছুদিন চন্দন কাঠের এই চোরাচালান বন্ধ ছিল। সম্প্রতি চোরাকারবারিরা আবার এই ব্যবসা চালু করেছে বলে খবর ছিল ডিআরআইয়ের কাছে। সেইমতো তারা খোঁজখবর চালাচ্ছিল। জানা যায়, দক্ষিণ ভারত থেকে এই রক্তচন্দন কাঠ নিয়ে এসে রাখা হয়েছে খিদিরপুরের একটি গোডাউনে। কন্টেনারেই সেগুলি মজুত রয়েছে। সেগুলি চীনে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল।
কিন্তু কন্টেনারে ওই কাঠ কার বা কোন সংস্থার নামে বুকিং করা হয়েছে এবং তার নম্বর কত, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়। সেই নম্বর জোগাড় করা হয়। এরপর দেখা হয়, ওই কন্টেনারে কোন কোম্পানির নামে বুকিং করা হয়েছে এবং খাতায়-কলমে কী সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে বলে লেখা রয়েছে। এই অনুসন্ধান চালাতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ অফিসারদের। জানা যায়, রেডিমেড পোশাক পাঠানো হচ্ছে বলে খাতায়-কলমে লেখা হয়েছে। কলকাতার একটি কোম্পানির নামও রয়েছে। এই কনসাইনমেন্ট বিদেশের কোন কোম্পানির কাছে যাচ্ছে, তাও লেখা রয়েছে। এমনকী তার জন্য কাগজপত্রও তৈরি করা হয়েছে। কোথায় যাবে থেকে শুরু করে কত টাকার সামগ্রী, সবই উল্লেখ রয়েছে তাতে। তখনই গোয়েন্দারা বুঝে যান, আসলে এই সমস্ত কাগজপত্র ভুয়ো। ডিআরআই বা অন্য গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারদের ফাঁকি দিতেই এই কৌশল নিয়েছে চোরাকারবারিরা। এরপর ওই গোডাউনে গিয়ে সেই কন্টেনার খোলা হয়। দেখা যায় তাঁদের অনুমানই সঠিক। কন্টেনারে থরে থরে সাজানো রয়েছে লাল রক্তচন্দন কাঠ। যে কোম্পানির এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট লাইসেন্স নম্বর দেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অফিসাররা জানতে পারেন, তাদের নম্বরও জাল করা হয়েছে। চোরাকারবারিরা গোডাউনের কারও মাধ্যমে এই নম্বর জোগাড় করেছে বলে ডিআরআই প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।
ধৃত দু’জনকে জেরা করে জানা গিয়েছে, কলকাতায় রক্তচন্দনের বেআইনি কারবারিরা ফের সক্রিয় হয়েছে। তারা বন্দর দিয়ে বিদেশে মাল পাঠাচ্ছে। এই কারবারে যুক্ত কয়েকজনের নাম তারা জানিয়েছে। এর সিংহভাগই যাচ্ছে চীনে। কারণ সেখানে রক্তচন্দন কাঠের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিপুল দামে তা বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন সামগ্রীর আড়ালেই এই কাঠ পাচার করা হচ্ছে। চীন ছাড়াও দুবাই ও ইউরোপের অন্যান্য দেশেও তা পাচার হচ্ছে বলে খবর।