বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফুটবলার হয়ে উঠতে হয়েছে ঊষসীকে। তবে ফুটবল তাঁর পছন্দের খেলা। ‘আমি জীবনে সুযোগ পেলে হয়তো ফুটবলারই হতাম। শুরুতে খুবই কঠিন মনে হয়েছিল। কিন্তু আমি জিম করি। রোগা পাতলা চেহারা। আর আমার ফিটনেস ভালো বলে সবসময় মনে হয় কোনও স্পোর্টস ওম্যানের চরিত্রে আমি সহজেই অভিনয় করতে পারব।’ চরিত্রের জন্য উষসীকে তিন মাস ফুটবল শিখতে হয়েছে। বাড়িতে নিয়ম করে ইউটিউবে মহিলা ফুটবলারদের ভিডিও দেখতেন তিনি।
ঊষসীকে ফুটবল কোচিং করিয়েছেন কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার। টিপস দিয়েছেন গোলকিপার শিল্টন পাল। একসময় মোহনবাগানের নিয়মিত গোলকিপার শিল্টন অবশ্য নিজেও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন। ‘শিল্টনের চেহারাটাই নায়োকচিত। ওর যে এটা প্রথম অভিনয় দেখলে বোঝা যায় না’ উচ্ছ্বসিত শোনাল ঊষসীর গলা। কুসুমিতা নিজেও ঊষসীকে প্রয়োজন মতো টিপস দিতেন। ‘আমার কিন্তু দিদিকে দেখেই মনে হয়েছিল যে তিনি এই চরিত্রে মানিয়ে নিতে পারবেন। আর এখন ছবিটা দেখার পর আমার আর কোনও সন্দেহ নেই।’
ক্রীড়াজগৎ থেকে সরে এসে টলিউডের শিল্পীদের সঙ্গে কাটানো শ্যুটিংয়ের দিনগুলো কুসুমিতার কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। পায়ের চোটের পর চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করতে হয়েছিলে কুসুমিতাকে। রাজ্যে মহিলা ফুটবলারদের জন্য উন্নত পরিকাঠামোর প্রতিবন্ধকতাকে অস্বীকার করছেন না তিনি। বললেন,‘বুকে স্বপ্ন নিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে মেয়েরা উঠে আসে ফুটবলার হতে। বিদেশের তুলনায় এখানে পরিকাঠামো অনেক কম। একটু ভালো টিফিন জোটে না। প্র্যাকটিসের অভাব। খেলোয়াড়দের যত্ন না নিলে ভয় হয় বাংলার মহিলা ফুটবলের মান আরও নিম্নগামী না হয়!’ এখন এই ছবির মাধ্যমে মহিলা ফুটবল সম্পর্কে বাঙালির সচেতনতা বাড়লে সার্থক হবে কুসুমিতার স্বপ্ন।