বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
দলের কোন এমপি গত পাঁচ বছরে কত কাজ করেছেন, তা জানতে শেষ এক বছর ধরে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে গোপনে একটি সমীক্ষা চালায় বিজেপি। সমীক্ষার ফলাফলের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির বিধায়ক সহ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সংগঠনের কাছ থেকেও সাংসদদের কাজের খতিয়ান নেওয়া হয়। দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী, লোকসভা অধিবেশন না চললে একজন বিজেপি সাংসদকে মাসের মধ্যে অন্তত ২১ দিন তাঁর এলাকায় থাকতে হবে। কোন কোন এমপি সেই নির্দেশ মেনেছেন এবং কারা তা মানেননি, তা সবই এই তালিকায় উঠে এসেছে। এছাড়া, এমপি ল্যাডের অর্থ খরচ, নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাংসদের সম্পর্ক, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি কতটা সক্রিয়, তাও এই সমীক্ষায় বিচার করে দেখা হয়। প্রতি বছর এমপি ল্যাডের জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যে সমস্ত সাংসদ এই ল্যাডের টাকা খরচ করতে ব্যর্থ, তাঁদেরকে প্রার্থী না করার সম্ভাবনা প্রবল বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতা-মন্ত্রীরা প্রায় সকলেই ফেসবুক, ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদেরও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হওয়ার জন্য বারংবার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবারের নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়া বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন মোদি। তারপরও যে সমস্ত সাংসদ ফেসবুক ও ট্যুইটারে সক্রিয় হননি, তাঁদের নিয়ে আলাদা তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
আরও জানা গিয়েছে, নির্বাচনের প্রার্থীপদের টিকিট পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন সাংসদ চাপের রাজনীতি শুরু করেছেন। উন্নাও লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য বার্তা দিয়েছেন সাক্ষী মহারাজ। তাঁকে প্রার্থী না করা হলে পরবর্তী ফলাফল ভালো নাও হতে পারে বলে লিখিতভাবে বিজেপিকে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরও জনমানসে নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, এমন কোনও সাংসদকে আসন্ন নির্বাচনে টিকিট দিতে নারাজ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই প্রায় ৩০-৪০ জন সাংসদের ভাবমূর্তি জনমানসে ভালো নয়। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিতভাবে মায়াবতীর বসপা ও অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন। এই সমস্ত সাংসদকে ফের প্রার্থী করা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।