বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
তবে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে পুলিসকে চমকানোর পরামর্শ দিলেও কবে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে, এদিন সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি দিলীপবাবু। এদিন হলদিয়ার টাউনশিপে বন্দরের বি বি ঘোষ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে দিলীপবাবু ছাড়া রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু, তুষার মুখোপাধ্যায় সহ রাজ্য ও জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপবাবু বলেন, পুলিসকে চমকে চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। তখনই ওরা বুঝে যাবে, কত ধানে কত চাল। ওদের আমরা টেস্ট করে নিয়েছি। ওদের কোনওভাবে ছাড়া হবে না। ইলেকশনের সময় পুলিসকে কোনও কাজই করতে দেব না। পুলিসকে দেখা হলে বলবেন, আপনারা অনেক করেছেন, এখন আপনারা বিশ্রাম করুন। বাকিটা আমরা করে নিচ্ছি। পুলিস যদি তৃণমূলের পিছন থেকে সরে যায়, তাহলে আমাদের কার্যকর্তারা ঠিক হিসেব বুঝে নেবে।
এদিন কর্মিসভায় দিলীপবাবু বলেন, এবার লোকসভা নির্বাচনে আমি টাফ সিটগুলিতে গিয়ে কর্মিসভা করছি। হুগলি, শ্রীরামপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও কাঁথি দু’টিতেই আমি সভা করছি। যেখানে জোরদার লড়াই হবে, সম্ভবনা আছে, সেখানেই আমি সভা করব। তবে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। কর্মীদের বলেছি, সভা সমিতি নয়, মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। মানুষকে গিয়ে বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে হবে। বাজারে গামছার দাম দিয়ে ধুতি চাইলে পাওয়া যায় না। সেরকম মানুষের কাছে গিয়ে আস্থা অর্জন করতে হবে।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন দিলীপবাবু বলেন, মনোনয়নের আগেই আপনারা জানতে পারবেন কে কে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছে। তৃণমূল মাত্র ৪২টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে, আর সর্বভারতীয় দল হিসেবে বিজেপিকে ৫৪২টি আসনে প্রার্থী ঠিক করতে হচ্ছে। যে রাজ্যে যেমন ভোট হচ্ছে, সেইমতো আমাদের প্রার্থী ঠিক হচ্ছে। বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীদের বিজেপিতে যোগদানের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিজেপির উন্নয়ন, নেতৃত্ব, সংগঠন পদ্ধতি, মোদিজির ইমেজ, দুর্নীতি ও হিংসামুক্ত রাজনীতির টানেই অনেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। বিভিন্ন ধরনের লোকজন আছেন, তাঁদের আমরা সেভাবেই ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে আইন তার বিচার করবে, বিজেপি ঠিক করবে না। রাজনীতি করতে গেলে অনেকের নামে অনেক কেস থাকে, আমার নামেই বিশটার বেশি কেস আছে। সেসব থাকবেই। যদি কেউ অপরাধ করে থাকেন, তাহলে অপরাধের শাস্তি তাঁকে পেতে হবে। তবে রাজনীতি করার জন্য বিজেপি দরজা খুলে রেখেছে। তিনি বলেন, প্রত্যেক জেলায় বিজেপি শক্তিকেন্দ্র প্রমুখদের নিয়ে সংগঠনিক বৈঠক করছি। সেই প্রক্রিয়ায় এদিন তমলুক সংগঠনিক জেলার শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ, মণ্ডল, জেলার কার্যকর্তাদের নিয়ে নির্বাচনের আগে বড় বৈঠক হচ্ছে।
তৃণমূলের নতুন মুখ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন তৃণমূলের জেতা ততটা সহজ নয় বলেই এই পরিবর্তন। এখন বিজেপি এরাজ্যে তৃণমূলের প্রধান বিরোধীশক্তি। সেইজন্য নতুন মুখ আনতে হয়েছে। অভিনেতা অভিনেত্রীদের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ভোট দাঁড় করানো প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, লোকসভা ভোট কি র্যা ম্প শো?