অতি সম্প্রতি কালিন্দী নাট্যসৃজন তাদের নবতম প্রযোজনা মোহন রাকেশের ‘আষাঢ়ের প্রথম দিনে’ মঞ্চস্থ করল। প্রসঙ্গত, ঠিক একই সময়ে আরো দুটি নাট্যগোষ্ঠী মোহন রাকেশের অন্য দুটি নাটক মঞ্চস্থ করেছেন।
ভাগীরথীর বুকে জেগে ওঠা এক চর। শহর থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম। নাম ঈশ্বরীপুর। সেই গ্রামের দূষণহীনতার মধ্যে বেড়ে ওঠে সত্যচরণ আর ধূর্জটিনারায়ণ, দুই বন্ধু। যৌবনের শুরুতেই একই গুরুর কাছে তাঁদের রাজনীতির পাঠ নেওয়া। শিক্ষাগুরু নিত্যানন্দ ছিলেন আদর্শবাদী, ন্যায়পরায়ণ। সত্যবাদিতা যার কাছে একমাত্র সত্য।
বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
বিশ্বজুড়ে এক অদ্ভুত আঁধার নেমে এসেছে। পরমতঅসহিষ্ণুতা, পরধর্মঅসহিষ্ণুতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গণতন্ত্রের পীঠস্থান বলে ভাবা হতো যে দেশটিকে, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের মানুষ তাদের শেষ আশ্রয়স্থল বলে ভাবত যে দেশটিকে সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অভিবাসন নীতিতে কড়া পদক্ষেপ করছে। আমাদের দেশেও বাড়ছে অসহিষ্ণুতা। গো-রক্ষার নামে পিটিয়ে মারা হচ্ছে নিরীহ মানুষকে। ছোট জাতের মানুষ কেন উঁচু জাতের মানুষের সঙ্গে একই সারিতে বসে খাবে? এই প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি খুন করা হয়েছে এক যুবককে। যেদিকে তাকানো যায় সবদিকেই সন্ত্রাসবাদ। বাদ নেই ইউরোপের দেশগুলিও। এই মানসিকতার বিরুদ্ধেই লড়াই তীর্থঙ্করের। আর লড়তে গিয়ে কোণঠাসা সে। নিজের স্ত্রীও তার পাশে থাকে না। দেশছাড়া হতে হয় তাকে— এই গল্প হযবরল নাট্যদলের প্রযোজনা ‘বিপজ্জনক’-এর। নাটকটি রচনা করেছেন চন্দন সেন। নির্দেশনাও তাঁরই। তীর্থঙ্করের ভূমিকায় দেবশঙ্কর হালদার। সম্প্রতি নাটকটির ৫০তম অভিনয় হয়ে গেল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের প্রেক্ষাগৃহে। শুরুতে চন্দন সেনের লেখা ‘বিপজ্জনক’ ও ‘প্রেমকথা’ দুটি নাটকের একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। প্রকাশ করেন কবি শঙ্খ ঘোষ। হাজির ছিলেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিনিধি
