হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর সঙ্গে ভরতপুর থানার বিন্দারপুর গ্রামের যুবক ফিরোজ শেখের বিয়ে হয়েছিল। এদিন সকালে ভরতপুর থানা থেকে ওই বধূর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সেখানে পাঠানো হয়। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল থেকে দেহ বের করা হয়। কিন্তু দেহ দেখার পরেই বধূর বাপের বাড়ির লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, বধূর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় কালশিটে দাগ রয়েছে। এমনকী মুখ থেকে কীটনাশকের গন্ধও পাওয়া যায়। তাঁদের অভিযোগ, টুম্পাকে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিসে অভিযোগও করা হবে বলে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন।
বধূর কাকা ইয়াসিন শেখ বলেন, আমরা থানায় অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই জামাইয়ের বাড়ির কয়েকজন আমাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। আমাদের চারজনকে মেরে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর আমরা প্রতিরোধ করতেই আমাদের ঘিরে ধরে সকলকে মারধর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় ১৫মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকালীন কান্দি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পৌঁছয়। দু’পক্ষকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কান্দি থানার পুলিস জানিয়েছে, কিছুক্ষণ ঝামেলা চলছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। রবিবার বধূর দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে।
মৃতার বাবা বদরুদ্দোজা শেখ বলেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। বছর তিনেক আগে মেয়ের একটি কন্যা সন্তানও হয়। তারপর থেকেই মেয়ের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার শুরু করা হয়। মাঝেমধ্যে অতিরিক্ত পণের দাবিতে মেয়েকে মারধর করা হতো। এদিন সকালে আমরা মেয়ের প্রতিবেশীদের কাছে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি। কিন্তু সেখানেও আমাদের উপর হামলা চালানো হয়।
এই ঘটনার পর মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন ভরতপুর থানায় যান। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পর পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে। তবে মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন সকলেই পলাতক।