হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, প্রবীণ মানুষদের কথা ভেবেই আমরা সতীঘাটের কাছে গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে ওই পার্কটি তৈরি করেছি। পার্কটিতে বসে অবসর সময় কাটানোর পাশাপাশি প্রবীণদের হাঁটাচলার জন্যও র্যা ম্প থাকছে। ২৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পার্কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহরের বাইপাস রোডে সতীঘাট ও লক্ষ্যাতোড়া শ্মশান ঘাটের মাঝে গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা ও প্রায় ২০ মিটার চওড়া জায়গায় সিটিজেন পার্ক তৈরি করেছে। পার্কের চারদিক গ্রিল দিয়ে ঘিরে নদীর পাড়ের উপরের দিকে বুদ্ধদেব, রামকৃষ্ণ, সারদা মা, স্বামী বিবেকানন্দ সহ মনীষীদের মোট ১০টি মূর্তি বসানো হচ্ছে। পুরো জায়গাটিতেই পেপার ব্লক বসানো হয়েছে। এছাড়াও বসে অবসর বিনোদনের জন্য মনীষীদের মূর্তির মাঝখানে বসার জন্য বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। একইভাবে নদীর কোলের দিকেও আরও একটি সারি বেঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদীর কোলে পেপার ব্লকের উপর দিয়ে বয়স্কদের হাঁটার জন্য র্যা ম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও পানীয় জল, সন্ধ্যার পর পার্কটির ভিতরে আলোর ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। শুধু তাই নয়, পার্কের স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য খুব শীঘ্রই একটি টয়লেট তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে পুরসভা। এছাড়াও প্রবীণ নাগরিকদের বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে পার্কের দু’দিকে দু’টি ছোট শেডের ব্যবস্থা করবে পুরসভা। তাই পুরসভার এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি শহরের প্রবীণ নাগরিকরা।
জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মী বলেন, শহরে প্রবীণ মানুষদের অবসর বিনোদনের জন্য এতদিন নির্দিষ্ট কোনও জায়গা ছিল না। তাই আমাদের এদিক ওদিকে ঘুরে বা চায়ের ঠেকে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে হতো। কিন্তু, একটু দেরিতে হলেও পুরসভা আমাদের মতো প্রবীণদের সময় কাটানোর একটা নির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়ায় আমরা খুশি।
স্কুলডাঙার বাসিন্দা প্রবীর দাস নামে আর এক প্রবীণ বলেন, পার্কটি আমাদের জন্য হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু, কদিন যেতে না যেতেই ছেলেছোকরারা এসে যাতে এই পার্কের দখল না নেয় সেদিকে পুরসভাকে নজর রাখাতে হবে।