হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এবিষয়ে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, আমরা ওই নির্মাণের বিষয়ে আগেই লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তার ভিত্তিতে ওই ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যে নোটিসও করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে পোস্টার সাঁটিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি চক্রান্ত করছে। নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকলে তা পুরসভায় নির্দিষ্টভাবে জানালে আমরা তার ব্যবস্থা নিই। কিন্তু এভাবে সারবত্তাহীন পোস্টার দিচ্ছে অসৎ উদ্দেশ্যে।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলার অমর রাম বলেন, আমি চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে চেন্নাইয়ে আছি। আমি কখনও কাটোয়ার বিধায়ক ছিলাম না। আর পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই ধরনের প্ল্যান আমি দিইনি। তাই এসব অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু লোক এসব করছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার এক জুতোর দোকানদার তাঁর দোকানের ভিতর সিঁড়ি তৈরি করে দোতলা নির্মাণ করছেন। অভিযোগ, ১.৭৫ কাঠা জায়গার উপর বেআইনিভাবে ওই ব্যবসায়ী দোতলা নির্মাণ করছেন। এছাড়া ওই বাজারের রাস্তা ঢালাইয়ের পর বড় করে দেওয়ার পর ব্যবসায়ীরা সামনে ঝাঁপ খুলে নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা হয়নি এখনও। এতে সাধারণ পথচারীদের ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাস্তার মধ্যেই ইমারতি দ্রব্য রেখে নির্মাণ কাজ হচ্ছে বলে পোস্টারে লেখা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ৩১ জুলাই কাটোয়া শহরের নিচুবাজার এলাকার বাসিন্দারা পুরসভায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওই ব্যবসায়ীর নামে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরে ওইদিনই পুরসভার চেয়ারম্যান ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন ছাড়া আপত্তিকরভাবে গৃহ নির্মাণ কীভাবে হচ্ছে তারজন্য নোটিস করেন। ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্যও ব্যবসায়ীকে নোটিসে জানায় পুরসভা। কিন্তু তারপরেও এনিয়ে পোস্টার পড়ায় বিরক্ত পুরসভা। চেয়ারম্যান বলেন, আমরা তো আগেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছি। ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। সেখানে এভাবে কে বা কারা অসৎ উদ্দেশ্যে পোস্টার সাঁটিয়েছে সেটা ভাবার বিষয়। যদিও এব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।