গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
দুর্ঘটনায় জখম অচ্যুতানন্দ গোস্বামী, শান্তি দাস, ঊষা মণ্ডল, কাননবালা সরকার ও শ্যামসুন্দর দাসকে পূর্বস্থলী-২ ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গঙ্গার পাশ দিয়ে যাওয়া ওই রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। মোরাম উঠে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। তার উপর ওই জায়গায় রাস্তার পাশে কোনও গার্ডওয়াল নেই। সেই কারণে যাত্রীবোঝাই টোটো উল্টে গঙ্গায় পড়ে যায়। সেই কারণে বাসিন্দারা ওইদিন বিক্ষোভ দেখান।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাটুলির সন্তোষপুরে অচ্যুতানন্দ গোস্বামীর একটি আশ্রম রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ অচ্যুতানন্দজি তাঁর স্ত্রী রেবারানিকে নিয়ে পাটুলি হাইস্কুল সংলগ্ন নতুনপাড়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে শ্যামসুন্দর দাস নামে তাঁর এক শিষ্যর বাড়িতে নাম সংকীর্তন হয়। সেখানে প্রচুর শিষ্য সমাগম হয়েছিল। ওই বাড়িতে রাত ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে। রাতে গুরুদেবকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য শ্যামসুন্দর এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে টোটো নিয়ে আসেন। রাত সোয়া ১০টা নাগাদ ওই টোটোয় চাপিয়ে গুরুদেব, গুরুমা সহ আরও তিন গুরুভাইকে নিয়ে শ্যামসুন্দর সন্তোষপুরে পৌঁছতে যান। রাতের অন্ধকারে পাকা রাস্তা থেকে গঙ্গা ধারের রাস্তা ধরেন। ভাঙাচোড়া রাস্তা ও গার্ডওয়াল না থাকার পাশাপাশি সেখানে কোনও স্ট্রিট লাইটও ছিল না। ফলে শ্যামসুন্দর নিয়ন্ত্রণ হারালে টোটো সহ সকলেই গঙ্গার জলে পড়ে যান।
চিৎকার চেঁচামিচির জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন এবং উদ্ধার কাজে হাত লাগান। তাঁরা জল থেকে এক এক করে পাঁচজনকে উদ্ধার করলেও রেবারানির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে টোটোর নীচে থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পূর্বস্থলী-২ ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এক শিষ্যা বলেন, গুরুমা কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। প্রথমে শিষ্যবাড়ি যেতে চাইছিলেন না। তারপর যেতে রাজি হন। আর এরপরই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেল।
এবিষয়ে পূর্বস্থলী-২-এর বিডিও সৌমিক বাগচি বলেন, রাতে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সন্তোষপুরে গিয়েছিলাম। সত্যিই ওই এলাকার রাস্তা খুব খারাপ। কোনও গার্ডওয়াল নেই। আমি শীঘ্রই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে কথা বলে রাস্তা মেরামতের ব্যবস্থা করব। গার্ডওয়ালও বসানো হবে।