উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
করিম সাহেবকে নিয়ে মূল্যায়ন করতে গিয়ে ইসলামপুরের অনেকেই বলে থাকেন নয়বার বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে ইসলামপুর তথা জেলার রাজনীতিতে তাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিলেন তিনি। এর কিছু নেতিবাচক প্রভাব মানুষ দেখেছিল। তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য গোলঘরে বোর্ড লাগানো ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের আগে তাঁকে সঙ্গে দেখা করা যেত না। পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ, সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এমন নানান বিষয় গত বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীরা ইস্যু করে তোলে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে করিম সাহেবকে হারতে হয়। প্রায় তিন বছরের অনুপস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে তিনি খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিলেন। খুব বেশি চর্চায় ছিলেন না। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ইস্যুগুলি মিলিয়ে যেতে থাকে। এবার তিনি নতুন প্রেক্ষাপটে প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। এটি তাঁর সহায়ক হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
গত নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে ৭৭৩৯ ভোটে পরাজিত হন করিম। জয়ী হওয়ার পরে কানাইয়া তৃণমূলে যোগ দেন। বিরোধিতা করেন করিম। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব তাতে গুরুত্ব দেয়নি। তিনি দল ছাড়েন। নামমাত্র একটা সংগঠন তিনি করেছিলেন বটে, কিন্তু সেটা খুব বেশি দাগ কাটতে পারেনি। এই সময়ে ইসলামপুরের রাজনীতিতে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েন করিম। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তাঁকে বিশেষ দেখা যায়নি। এমনকী সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনেও তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এবার আবার তিনি মূলধারার রাজনীতিতে ফিরে আসতেই শহরে চর্চা ছড়িয়েছে।
বিরোধীরা অবশ্য রাজনীতিতে করিমের দীর্ঘ অনুপস্থিতিকে তাদের নিজের পক্ষে সহায়ক হয়েছে বলেই দাবি করেছে। বিজেপি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন ও কংগ্রেস প্রার্থী মুজফ্ফর হুসেন প্রায় একই সুরে বলেন, করিম সাহেব বিধায়ক, মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু উন্নয়ন হয়নি। উল্টে তাঁর সময়কালের কিছু কার্যকলাপ মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। এবারও সেই ফ্যাক্টরগুলি রয়েছে। মানুষ ইতিহাস সহজে ভোলে না। তাঁকে ঘিরে যে সুবিধাবাদী চক্রটি তৈরি হয়েছিল তিনি প্রার্থী হওয়ায় তারাই উল্লসিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের তাতে কিছু যায় আসে না। এনিয়ে করিম সাহেব অবশ্য বলেন, আমি দীর্ঘ দিন দলে না থাকার কারণে অনেকেই মনে মনে ভাবছিল আমি যেন আবার ফিরে আসি। গত নির্বাচনের সময় বিরোধীরা আমরা বিষয়ে ভিত্তিহীন ইস্যু বানিয়ে প্রচার করেছিল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করতেই ইসলামপুরের মানুষ খুশিতে আত্মহারা হয়েছে।