উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সহ সভাপতি গোপাল মজুমদার বলেন, পার্কটি বানানো হলেও এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্টভাবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সেকারণেই এটি বেহাল হয়ে পড়েছে।
হেমতাবাদের বিডিও পৃথ্বীশ দাস বলেন, পার্কটি নির্মাণ করা হলেও এটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমরা ব্লক প্রশাসন কোনওভাবে এর রক্ষণাবেক্ষণ করছি। ফান্ডের অভাবে তা ভালোভাবে করাও সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচনপর্ব মিটে গেলে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতকে এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেব।
হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের শেখর রায় বলেন, পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে হেমতাবাদ থানার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা হয়েছিল। কিন্তু ফান্ডের অভাবে থানা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। ভোটপর্ব মিটে গেলেই আমরা বিডিও’র সঙ্গে আলোচনার করে এর স্থায়ী সমাধানের উপায় বের করব।
২০১৮ সালের ৫ জুন রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়কের পাশে হেমতাবাদ থানা সংলগ্ন প্রায় দু’বিঘা জমিতে সুদৃশ্য পার্কটি করা হয়েছিল। এটির উদ্বোধন করেছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। স্কুল পড়ুয়া থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী কিংবা সাধারণ মানুষকে পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে পাঠ দিতেই পুলিসের পক্ষ থেকে এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটাই এখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছে। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থে হেমতাবাদ থানা লাগোয়া জমিতে পার্কটি বানানো হয়েছিল। এখানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে ‘থিম’ করে দোলনা, চেয়ার, সুদৃশ্য গাছ, রাস্তা, পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাংকেতিক চিহ্ন করা হয়েছিল। যাতে সকলেই সচেতন হন সেজন্য প্রতীকি হিসেবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটর বাইক, ছোট গাড়ি পার্ক চত্বরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর যানবাহনের কী পরিস্থিতি হতে পারে সেটাই এখানে তুলে ধরা আছে। এছাড়াও পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা ধরনের মডেল, পোস্টার পার্কের বিভিন্ন প্রান্তে লাগানো হয়েছে।
গতবছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেমতাবাদ থানা ময়দানে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে উত্তরবঙ্গের প্রথম এই ট্রাফিক পার্কের শিলান্যাস করে যান। সাড়ে তিনমাসের মধ্যেই সেটি করা হয়। কিন্তু গত দু’মাস ধরে পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আগাছায় ভরে গিয়েছে। পার্কে ঢোকার মুখের রাস্তায় জলকাদা সর্বক্ষণেই জমে থাকে। বসার চেয়ার ভেঙে গিয়েছে, বিভিন্ন মডেল, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ভাঙা গাড়িগুলি ধুলোয় ঢেকে গিয়েছে। পার্কে শিশুদের রাইডগুলিও ভেঙে রয়েছে।