কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, মালদহ থেকে ৫০ হাজার মানুষের যাওয়ার কথা। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনেকে নিজে থেকেই উৎসাহী হয়ে ব্রিগেডে যেতে চাইছেন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আমাদের হিসাবে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ চলে গিয়েছেন। বাকিরা শুক্রবারই রওনা দেবেন। তৃণমূল যুব কংগ্রেস জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ী বলেন, ব্লকভিত্তিক যে সমস্ত মানুষ যাবেন তাঁদের সঙ্গেই যুবকর্মীদের যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা আলাদা করে যুবদের টার্গেট বেধে দিয়েছি। জেলা থেকে অন্তত ১৫ হাজার যুবকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই যুবদের কয়েকটি দল কলকাতায় গিয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূণ রায় বলেন, আমরা কলেজভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছি। কেউ কেউ ব্লক থেকে যাবে। পাশাপাশি আমরা কলেজ থেকে পৃথক গাড়িতে করে কলকাতা যাব। অনেককে ট্রেনেও পাঠানো হচ্ছে। আমরা প্রথমে বেশি গাড়ি করিনি। কিন্তু কলেজে কলেজে যেভাবে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে তাতে আমাদের গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হচ্ছে।
এবার ব্রিগেড সমাবেশকে সফল করতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আগেভাগেই ময়দানে নেমেছিল। গত একমাস ধরে মালদহে এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। দলের জেলা সম্মেলনের মঞ্চ থেকে যেমন শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে জমায়েতের ডাক দিয়ে গিয়েছেন তেমনি বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতারাও মালদহে এসেছেন। গত একমাসে দলের ছাত্র, শ্রমিক, কিষাণ ক্ষেতমজুর, এসসি এসটি সেল, মহিলা সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব মালদহে এসেছেন এবং বৈঠক করেছেন। এর পাশাপাশি ব্লকে ব্লকে বৈঠক করা হয়েছে। এরফলেই দলে দলে লোক বিগ্রেডে যাওগার জন্য এগিয়ে এসেছে। ব্রিগেড নিয়ে বিপুল উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। ফলত পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়েযাবে বলেই নেতৃত্ব মনে করছে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আদিবাসী শিল্পীদের একাধিক দলও ব্রিগেডে যাচ্ছে।
বুধবার থেকে দফায় দফায় ব্রিগেডে যাওয়ার ঢল শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত মূলত রেল ও সড়ক পথেই মানুষ যেতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবারও রেল ও সড়ক পথে প্রায় আট হাজার মানুষ কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। বাকিরা আজ, ১৮ জানুয়ারি রওনা দেবে।