কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুামর বলেন, এদিন ওই এলাকায় একটি সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে ওই ধরনের সচেতনতা শিবির আরও করা হবে। ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে আমরা তা তদন্ত করে দেখছি।
সিজগ্রামের বটতলা এলাকার বাসিন্দা জনৈক কিডনি বিক্রেতা বলেন, প্রায় নয় বছর আগে কলকাতার পিজি হাসপাতালে কিডনি দিয়েছিলাম। অভাবের কারণে খবরের কাগজ দেখে আমি কিডনি দিয়েছি। কিডনি দিয়ে দুই লক্ষ টাকা পেয়েছিলাম। তুড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরেক কিডনি বিক্রেতা বলেন, আমি সাত বছর আগে কলকাতার মুকুন্দপুর এলাকার একটি নার্সিংহোমে কিডনি বিক্রি করেছিলাম। কিডনি বিক্রি করে আমি এক লক্ষ টাকা পেয়েছিলাম। আমরা পাঁচ মেয়ে। তার মধ্যে চার মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। আরও এক মেয়ে রয়েছে। ওই এলাকার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আরএসপির চন্দ্রশেখর অধিকারী বলেন, শুনেছি এই এলাকা ও আশপাশের এলাকার আরও কিছু মানুষ কিডনি বিক্রি করেছেন। পুলিস প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে হবে।
দিন কয়েক আগেই বাড়িয়া এলাকায় কিছু মানুষ কিডনি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে খবর ফাঁস হয়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিস ও প্রশাসনের অন্দরে আলোড়ন পড়ে যায়। ওই এলাকায় ঠিক কত জন তাদের কিডনি বিক্রি করেছেন, কেন তারা কিডনি বিক্রি করলেন, এই পরামর্শ তাঁদের কে বা কারা দিল, এই ঘটনার পিছনে কেউ জড়িত রয়েছে কি না পুলিস তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ ব্লকেরই বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের জালিপাড়ায় বছর কয়েক আগে কিডনি বিক্রির চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই সময়ে জালিপাড়ার বেশ কিছু ব্যক্তি কিডনি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। সে ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। তবে বেশ কিছু দিন ধরে ওই এলাকায় এই প্রবনতা কমে গিয়েছে। এর মধ্যেই কিডনি বিক্রির বিষয়ে নতুন করে রাড়িয়া এলাকার নাম উঠে এসেছে। ওই এলাকায় যাঁরা কিডনি বিক্রি করেছেন বলে প্রকাশ্যে এসেছে তাঁরা সকলেই হত দরিদ্র মানুষ। নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে কিডনি বিক্রি করে তাঁরা সংসারের প্রয়োজন মিটিয়েছেন বলে তাঁরা নিজেরাই দাবি করেছেন। কিন্তু দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অংশ বিক্রি করে দিলে কী কী সমস্যার সম্মুখীন তাঁরা হবেন সেই বিষয়ে এদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বুঝিয়ে বলা হয়। অপর দিকে, পুলিসও এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্রের হাত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।