পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
গ্রাসমোড় চা বাগানের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত চা মজদুর ইউনিয়নের নেতা রাজু গোলে বলেন, এর আগেও একইভাবে গত বছরের ৩ জুলাই বকেয়া না দিয়ে বাগান বন্ধ করে দেওয়ার পর ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে ৯ জুলাই বাগান খুলে যায়। ফের ২৩ জুলাই বাগান বন্ধ করে চলে যায় মালিকপক্ষ। ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে ৮ অক্টোবর বাগান খোলা হয়। এবারও গত ৭ জানুয়ারি বকেয়া মেটানোর তারিখে টাকা না দিয়ে ১৫ জানুয়ারি দেওয়া হবে বলে বাগান কর্তৃপক্ষ লিখিত নোটিস দিয়েছিল। কিন্তু এবারও একই কায়দায় বকেয়া না দিয়েই তারা চলে গিয়েছে। রাজুবাবু আরও বলেন, শ্রমিকদের বহু টাকা বকেয়া আছে।
বাগানের আর এক শ্রমিক আশিকা এক্কা বলেন, ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তির টাকা এখন কোথা থেকে আসবে। এভাবে একের পর এক বকেয়া না মিটিয়ে বাগান ছেড়ে চলে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই মালিকপক্ষের এভাবে বাগান পরিচালনাকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না শ্রমিকরা। এদিন বিজেপি নেতা জন বারলাও বাগান খোলার দাবিতে সোচ্চার হন।
গ্রাসমোড় চা বাগান টাইয়ের সদস্যভুক্ত। এবিষয়ে টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গের সচিব রাম অবতার শর্মা বলেন, আমিও শুনেছি গ্রাসমোড় চা বাগানের ঘটনা। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির জেলার ডেপুটি লেবার কমিশনার পার্থ বিশ্বাস বলেন, আমরা গ্রাসমোড় চা বাগান বন্ধের কোনও নোটিস পাইনি। কিন্তু শ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আগে থেকেই ১৮ জানুয়ারি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে রেখেছি। সেদিনের বৈঠকেই বাগান খোলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।